ভেজা বলে বাংলাদেশের স্পিনারদের বিশেষ অনুশীলন
গোলাপি বল দিনে কেমন আচরণ করবে, কেমন করবে রাতের কৃত্রিম আলোয়, কেমন হবে শিশির পড়লে? নভেম্বরের শেষ দিকটায় শীতের আগমনী সময়ে শিশিরের প্রভাবের কথা চিন্তা করে অনুশীলনে তাই ভিন্ন কৌশল নিয়েছে বাংলাদেশ। বল ভিজিয়ে স্পিনাররা অনুশীলন চালিয়েছেন বল গ্রিপ করার। দেখে নিয়েছেন গোলাপি বল আসলে কতটুকু স্কিড করতে পারে।
দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে কলকাতা যাওয়ার আগে ইন্দোরে সোমবারই (১৮ নভেম্বর) ছিল শেষ অনুশীলন। এদিন পুরোদমে অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। ভারত অবশ্য কাটিয়েছে ছুটি। এদিন ঐচ্ছিক অনুশীলনও রাখেনি স্বাগতিকরা।
বাংলাদেশের সে ফুরসত নেই। দলবল নিয়ে পূর্ণাঙ্গ অনুশীলন চলেছে। তার মধ্যে হয়েছে বিশেষ কিছু ড্রিল। দিবারাত্রির টেস্টে সন্ধ্যা থেকে পড়তে পারে ভারী শিশির। বল শিশিরে ভিজলে গ্রিপ করা কঠিন। আবার ঠিকমতো গ্রিপ করা গেলে আছে সুবিধা, স্কিড করে তা ভেতরে ঢুকে বিপদে ফেলতে পারে ব্যাটসম্যানদের।
এসব হিসাব-নিকাশ করে স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি চালিয়েছেন অনুশীলন। মেহেদী হাসান মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, নাঈম হাসান আর তাইজুল ইসলাম দেখে নিয়েছেন গোলাপি বলের হাল হকিকত।
গোলাপি বল স্যুয়িং করে বেশি, থাকবে মুভমেন্ট আর বাউন্সও মিলবে বেশ ভালো। পেসারদেরই তাই এই বলে অনেক সুবিধা। তবে স্পিনারদের জন্য একেবারে কিছু নেই তাও না। তাছাড়া বাংলাদেশ সর্বোচ্চ তিন পেসার খেলাতে পারে, বাকি কাজ সারতে হবে স্পিনারদের। অর্থাৎ স্পিনারদেরও আছে বড় ভূমিকা। এই চিন্তাতেই বল গ্রিপ করা আর স্কিড করানোর বিষয় দেখে নিয়েছেন স্পিনাররা।
অনুশীলন শেষে মিরাজ জানিয়েছেন গোলাপি বল বেশ ভালো স্কিড করতে পারে রাতের বেলায়, ‘আমার কাছে মনে হয় স্পিনাররা স্কিড করতে পারবে বেশি, বাউন্সও থাকতে পারে, টার্নও থাকতে পারে।’
‘এখন পর্যন্ত আমার কাছে মনে হয়, রাতে যে অনুশীলন করছি, আজও করছি, আরও করব। যে কয়দিন আছি করব, পেস বোলাররা কেমন সুবিধা পাবে, এসব আসলে আরও দুই-একদিন অনুশীলনের পর বুঝতে পারব। অবশ্যই ভিজে গেলে স্কিডটা বেশি করবে, মুভ করার চাইতে।’
গোলাপি বলে ভারতের মতো এই প্রথম খেলতে নামবে বাংলাদেশ। এর ভয়ের দিক না ভেবে নতুনত্বের স্বাদ পেতে মুখিয়ে থাকার কথা জানালেন মিরাজ, ‘নতুন একটা অভিজ্ঞতা, টেনশন না। বরং বাড়তি রোমাঞ্চ কাজ করছে পিংক বলে খেলব প্রথমবার। সবাই স্বাভাবিক আছি। সবসময় যেভাবে ম্যাচে মাঠে নামি, সেরকমই আছি।’
Comments