ইডেনে ইতিবাচক কিছু হবে: আল-আমিন
ইন্দোর টেস্টের একাদশে জায়গা হয়নি। তাতে একটা লাভও হয়েছে বোধহয় আল-আমিন হোসেনের। বাড়তি কয়েক দিন চালিয়েছেন গোলাপি বলে অনুশীলন। টানা কয়েক দিনের অনুশীলনে গোলাপি বল অনেকটাই চেনা এখন তার। এই বলের সুবিধা, অসুবিধা সব বিশ্লেষণ করে ফেলেছেন। তাতে কলকাতার ইডেন গার্ডেন্সে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিতীয় টেস্টে আল-আমিন পেসারদের জন্য দেখছেন অনেক রসদ, তাই দায়িত্বও দেখছেন বেশি।
প্রথম টেস্টে তিন দিনে হেরে যাওয়ার পর ইন্দোরে থেকেই গোলাপি বলে পুরোদমে দুদিন অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ। একাদশের বাইরে থাকা আল-আমিন গোলাপি বল নিয়ে কাজ শুরু করেছেন আরও আগে থেকে।
মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) সকালে ইন্দোর থেকে কলকাতা যাওয়ার আগে আল-আমিন জানিয়ে গেলেন গোলাপি বলের ভালো-মন্দ। বিশেষ করে লাল বলের সঙ্গে গোলাপি বলের কী ব্যবধান তা ব্যাখ্যা করেছেন তিনি, ‘হ্যাঁ, একটু ব্যবধান আছে। লাল বলের চেয়ে সিম একটু শক্ত এবং শাইন (ঘষে চকচকে) করা যায় খুব সহজে। সেক্ষেত্রে সবকিছু মিলিয়ে ভালো হবে মনে হয়। বলটা খুব ভালো।’
সুবিধা থাকছে পেসারদের। কারণ মূল ভূমিকা নিতে হবে তাদেরই। আল-আমিনের উপলব্ধি, সুবিধা মানেই দায়িত্ব, ‘এখন বল ভালো, সবকিছু ভালো, কন্ডিশনও যদি ভালো থাকে, আমরা যারা পেস বোলার খেলব, তাদের দায়িত্ব কিন্তু অনেক। কারণ ভালো জায়গায় বল করতে হবে। নাহলে ওদের কিন্তু সমস্যায় ফেলা যাবে না।’
‘ওদের সব ব্যাটসম্যানই টপ্ ক্লাস। র্যাঙ্কিংয়ের এক থেকে দশ পর্যন্ত দু-তিনজন ব্যাটসম্যান আছে। বোলারদের জন্য তাই একটা পরীক্ষা বলে আমার মনে হয় গোলাপি বলে। কারণ, যেহেতু বলটা ভালো, কন্ডিশন ভালো, আমরাও যদি ভালো করতে পারি, তাহলে টেস্টটা ইনশাআল্লাহ ভালো-ইতিবাচক একটা টেস্ট হবে।’
ইন্দোরে দলের কাহিল দশা ইন্দোরেই ফেলে যাচ্ছে বাংলাদেশ। গোলাপি বল যেহেতু ভারতের জন্যও নতুন, কলকাতা টেস্টে দারুণ কিছু করারও স্বপ্ন বোনার ইঙ্গিত দিয়েছেন আল-আমিন, ‘আমরা সবাই উন্মুখ হয়ে আছি। সামনে ঐতিহাসিক টেস্ট, গোলাপি বলে। এখানে ভারতও অপরিচিত, আমরাও অপরিচিত। দুইদিক থেকে অপরিচিত। বলটাও নতুন। সেই হিসেবে মনে হয়, ভালো একটা চ্যালেঞ্জিং ম্যাচ হবে। শেষ তিন-চার দিন ধরে আমরা অনুশীলন করছি। কলকাতায় যাওয়ার পরও দু-তিনদিন সুযোগ পাব। সবকিছু মিলে, অতীতে যা ঘটে গেছে মানে শেষে টেস্ট খারাপ হয়েছে, আর সেগুলো নিয়ে চিন্তা করলে সামনে আগানো খুব কঠিন। আমরা চিন্তা করছি, দলগতভাবে কীভাবে ভালো খেলা যায়, কীভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলা যায়। সেই চেষ্টাই থাকবে কলকাতা টেস্টে।’
Comments