পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের ধারায় ব্রাজিল
হুট করেই যেন কি হয়ে গিয়েছিল ব্রাজিলের। দাপটের সঙ্গে কোপা আমেরিকা জেতার পর যেন জিততেই ভুলে গিয়েছিল দলটি। টানা পাঁচ ম্যাচে জয়হীন। তবে দুঃসময় ছেড়ে আবার জয়ের ধারায় ফিরেছে তারা। এদিন দক্ষিণ কোরিয়াকে বড় ব্যবধানেই হারিয়েছে ব্রাজিল। ফিলিপ কৌতিনহোর দারুণ নৈপুণ্যে ৩-০ গোলের স্বস্তির জয় পায় দলটি।
দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আগের ম্যাচের একাদশ থেকে বেশ কিছু পরিবর্তন আনেন ব্রাজিল কোচ তিতে। থিয়াগো সিলভা ও অ্যালেক্স সান্দ্রোর জায়গায় খেলেছেন মার্কিনিয়োস ও রেনান লোদি। মিডফিল্ডে কাসেমিরো ছিলেন না। ফাবিনহো খেলেছেন। আক্রমণভাগে প্রথম একাদশে ফেরেন ফিলিপ কৌতিনহো ও রিচার্লিসন। তবে দলের এ পরিবর্তন দারুণ কাজে দেয়। শুরু থেকেই দারুণ ফুটবল উপহার দেয় দলটি। হারলেও অবশ্য দারুণ লড়াই করেছে কোরিয়া।
ম্যাচের নবম মিনিটেই এগিয়ে যায় ব্রাজিল। ফিলিপ কৌতিনহো বাড়ানো বল ধরে গোলমুখে আড়াআড়ি ক্রস করেন রেনান লোদি। ঝাঁপিয়ে পরে দারুণ এক হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লুকাস পাকিয়েতা। ১৫তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ শট নিয়েছিলেন সন হিউং-মিন। তবে শটে তেমন জোর না থাকায় সতর্ক গোলরক্ষক অ্যালিসন বেকারের তা ধরতে কোন পরীক্ষা দিতে হয়নি।
২১তম মিনিটে সমতায় ফেরার দারুণ সুযোগ ছিল কোরিয়ার। সনের কোণাকোণি অল্পের জন্য বারপোস্ট ঘেঁষে লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ছয় মিনিট পর ভালো সুযোগ ছিল ব্রাজিলেরও। এক সতীর্থের বাড়ানো বলে ধরে দারুণ এক কোণাকোণি শট নিয়েছিলেন রিচার্লিসন। তবে ঝাঁপিয়ে পরে তা ঠেকিয়ে দেন কোরিয়ান গোলরক্ষক জ হিউন য়ো।
৩৬তম মিনিটে ডি-বক্সের সামান্য বাইরে বিপজ্জনক জায়গা থেকে ফ্রিকিক পায় ব্রাজিল। তার সুবিধা আদায়ও করে নেয় দলটি। দুর্দান্ত এক বাঁকানো শটে বল জালে জড়ান কৌতিনহো। ছয় মিনিট পর অবশ্য প্রায় নিজেদের জালেই বল জড়িয়ে দিচ্ছিলেন তিনি। ডি-বক্সের সামান্য বাইরে থেকে পাওয়া ফ্রিকিক নিচু শট নিয়েছিলেন সন। গোলরক্ষক অ্যালিসন ফেরালেও ফিরতি বল মাঠের বাইরে মারতে যান কৌতিনহো। তবে বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে বেঁচে যায় দলটি।
বিরতির পর পরই ব্যবধান কমাতে পারতো কোরিয়া। একেবারে ডি-বক্সের মধ্যে কোণাকোণি লক্ষ্যভ্রষ্ট ভলি নেন সন। তবে ফাঁকায় থাকা অন্য সতীর্থদের দিলে গোলটা হলেও হতে পারতো। ৫৫তম মিনিটে কৌতিনহোর ফ্রিকিক থেকে ফাঁকায় হেড দেওয়া সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পাকুয়েতা। পরের মিনিটে তার আরও একটি দারুণ শট ডি-বক্স থেকে কর্নারের বিনিময়ে ফেরান এক ডিফেন্ডারে।
৬০তম মিনিটে ব্যবধান আরও বাড়ায় ব্রাজিল। বাঁ প্রান্ত থেকে লোদির ক্রস থেকে ডি-বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া দানিলো জোরালো এক শট গোলরক্ষক ফিস্ট করলেও তা জালে জড়ায়। সাত মিনিট পর ব্যবধান আরও বাড়তে পারতো। রিচার্লিসনের কোণাকোণি শট অল্পের জন্য লক্ষ্যে থাকেনি। ৭১তম মিনিটে ভালো সুযোগ ছিল জেসুসের। কোণাকোণি শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।
পরের মিনিটে দারুণ সুযোগ ছিল কোরিয়ারও। ডিফেন্ডারের ভুল ফাঁকায় বল পেয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন কিম জিম সু। কিন্তু তার শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন। ৭৫তম মিনিটে সনের আরও একটি দূরপাল্লার জোরালো শট ফিস্ট করে ফিরিয়ে দেন অ্যালিসন। ৮৪তম মিনিটে বলদি খেলোয়াড় রোবার্তো ফিরমিনোর বাড়ানো বলে একেবারে ফাঁকায় বল পেয়েও বাইরে মারেন রিচার্লিসন। তবে শেষ পর্যন্ত বড় জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি।
Comments