তূর্ণা নিশীথার চালক-গার্ডের অবহেলায় দুর্ঘটনা: তদন্ত প্রতিবেদন

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের জন্য তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের লোকো মাস্টার, সহকারী লোকো মাস্টার ও গার্ডের অবহেলাকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।
train_crash-1.jpg
১২ নভেম্বর ২০১৯, ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার মন্দবাগ রেলস্টেশনে উদয়ন এক্সপ্রেস ও তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের মধ্যে এই সংষর্ষের ঘটনা ঘটে। ছবি: মাসুক হৃদয়/স্টার

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় দুই ট্রেনের সংঘর্ষের জন্য তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেসের লোকো মাস্টার, সহকারী লোকো মাস্টার ও গার্ডের অবহেলাকে দায়ী করে প্রতিবেদন দিয়েছে তদন্ত কমিটি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবায় তূর্ণা নিশীথার ও উদয়ন এক্সপ্রেসের সংঘর্ষের কারণ তদন্ত করতে তিনটি তদন্ত কমিটি করা হয়েছিল। তাদের প্রতিবেদনের ভিত্তিতে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন আজ সংবাদিকদের এই কথা বলেছেন।

মন্ত্রী বলেন, তাদের দায়িত্বে অবহেলার কারণেই ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল।

এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধান করতে রেলওয়ের পক্ষ থেকে দুটি ও জেলা প্রশাসন একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে। দুর্ঘটনার পর তূর্ণা নিশীথার তিনজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

গত ১২ নভেম্বর রাতে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা অভিমুখী তূর্ণা নিশীথা এক্সপ্রেস ট্রেনটি মন্দবাগ স্টেশনে সিলেট থেকে চট্টগ্রামগামী উদয়ন এক্সপ্রেস ট্রেনকে ধাক্কা দিলে ১৮ জন নিহত ও অর্ধশতাধিক মানুষ আহত হন। হতাহতদের প্রায় সবাই উদয়ন এক্সপ্রেসের যাত্রী ছিলেন।

দুর্ঘটনার কারণ সম্পর্কে মন্দবাগ স্টেশন মাস্টার মো. জাকের হোসেন চৌধুরী বলেছিলেন, তূর্ণা নিশীথা ট্রেনটিকে আউটার ও হোমে মেইন লাইনে থামার জন্য সিগন্যাল দেওয়া হয়েছিল। আর উদয়ন ট্রেনটিকে মেইন লাইন থেকে এক নম্বর লুপ লাইনে আসার সংকেত দেওয়া হয়েছিল। সেই হিসেবে উদয়ন ট্রেন এক নম্বর লাইনে প্রবেশ করে। এ সময় তূর্ণা নিশীথা ট্রেনের চালক সংকেত অমান্য করে উদয়ন ট্রেনের উপর উঠে গেলে দুর্ঘটনা ঘটে।

দুর্ঘটনার সময় উদয়ন এক্সপ্রেসের মাঝামাঝি তিনটি বগির সঙ্গে তূর্ণা নিশীথার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়।

 

আরও পড়ুন: 

মাত্র ৩০ সেকেন্ডের জন্য ১৬ প্রাণ শেষ

যাত্রীর বর্ণনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া ট্রেন দুর্ঘটনা

ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ২ ট্রেনের সংঘর্ষ: নিহত ১৬

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago