গোধূলি বেলায় বল দেখা নিয়ে দুই দলই চিন্তায়

দিবারাত্রির টেস্ট ম্যাচ শুরু হবে কলকাতার স্থানীয় সময় দুপুর ১টায়। দিনের আলোয় তাই গোলাপি বল খুব বেশি ফারাক তৈরি না করলেও ঠিক সন্ধ্যে নামার সময়টায় নাকি তৈরি হতে পারে বিভ্রম। বাংলাদেশ, ভারত দুই দলই বলছে আলো থেকে আঁধারে যাওয়ার ওই সময়টাই নাকি হতে পারে ভীষণ কঠিন। 

দুপুর একটা থেকে শুরু হওয়া প্রথম সেশন শেষ হবে বিকেল তিনটায়। পৌনে চারটা থেকে পরের সেশন শেষ হবে পৌঁনে ছয়টায়। ছয়টা থেকে রাত আটটায় হবে শেষ সেশন।

দ্বিতীয় সেশনের শেষ দিকটায় অনেকখানি সময় খেলা হবে গোধূলি আলোয়। আলো থেকে অন্ধকারে যাওয়ার এই সময়টা দৃষ্টিশক্তিতে ফেলতে পারে প্রভাব। গোলাপি বল দেখা, পিক করা, সামলানো হবে কঠিন। একইসঙ্গে উইকেটকিপার, স্লিপ ফিল্ডার ও উঁচুর ক্যাচ নেওয়ারেও পড়তে পারে প্রভাব।

বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি ব্যাখ্যা দিয়ে বোঝালেন কেন এই সময়টা নিয়েই ভাবছেন তারা,  ‘গোলাপি বল এমনিতে দিনের বেলাতে স্বাভাবিকই। কিন্তু যখন রাত নামবে তখন ব্যাপারটা ভিন্ন। সূর্যাস্ত এই অঞ্চলে খুব তাড়াতাড়ি হয়। আমার মনে হয় ওই সময়টাই গোলাপি বল প্রভাব রাখবে। যখন গোধূলির সময় হবে তখন আলো-আঁধারি অবস্থা, বল দেখা কঠিন। আমার অভিজ্ঞতা কেবল টিভিতে দেখেই। বিশেষত এই সময়টাই কিছু ভিন্নতা আমরা দেখব। উইকেট খুব ভালো হবে। শেষ সেশন খুব কৌতুহলউদ্দীপক হতে পারে।’

ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে গোলাপি বলে ম্যাচ খেলেছেন উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান ঋদ্ধিমান সাহা। সে ম্যাচ কোকাবোরা বলে খেলা হলেও টেস্ট ম্যাচ হতে যাচ্ছে এসজি বলে। বলের পার্থক্য তাই আছে। তবে ঋদ্ধিমানকে ভাবাচ্ছে গোধূলির সময়,  ‘গোধূলি বেলায় বল দেখা, পিক করা একটু কঠিন হয়। সেটা মানিয়ে নিতে হবে। এখন তো আর কিছু করার নেই। আর নতুন বলটা অন্যরকম বানিয়েছে। বোলারদের জন্য একটু সাহায্য থাকতে পারে।’

 

Comments

The Daily Star  | English

Eid meat: Stories of sacrifice, sharing and struggle

While the well-off fulfilled their religious duty by sacrificing cows and goats, crowds of people -- less fortunate and often overlooked -- stood patiently outside gates, waiting for a small share of meat they could take home to their families

12h ago