দিবারাত্রি টেস্টে স্পিনারদের যে ভূমিকায় চান ভেট্টোরি
গোলাপি বলে স্যুয়িং, মুভমেন্ট থাকায় পেসাররা পাবেন বাড়তি সুবিধা। উইকেটে থাকা ঘাসও পক্ষে যাবে পেসারদের। এমনকি শিশির পড়লে স্পিনারদের ভূমিকা কমে যাবে আরও। তবু বাংলাদেশের স্পিন বোলিং কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি তার স্পিনারদের নিয়ে আশাবাদি। এই টেস্টে তার শিষ্যরা মূল ভূমিকায় না থাকলেও তাদের করার অনেক কিছুই দেখছেন তিনি।
বাংলাদেশ-ভারতের দিবারাত্রির টেস্ট হবে এসজি গোলাপি বলে। এই বলে ছয় স্তর বিশিষ্ট রঙের প্রলেপ থাকায় তা শাইন করবে অনেক বেশি। যত শাইন করবে পেসারদের জন্য তা কাজে আসবে মুভমেন্ট পেতে।
তাছাড়া শীতের আগামনী এই সময়টায় শিশির বলে গ্রিপ নিতে ফ্যাসাদে ফেলতে পারে স্পিনারদের। বাংলাদেশও একজন স্পিনার কমিয়ে একাদশে পেসার বাড়ানো কথা ভাবছে। এসব কিছু জেনেই ভেট্টোরি দেখছেন স্পিনারদের সুযোগ, ‘গোলাপি বলের টেস্টেও স্পিনাররা বড় ভূমিকা রাখতে পারে। দ্রুত সন্ধ্যা নেমে যাওয়ায় একটা ভিন্নতা তৈরি হতে পারে। স্পিনারদের নিতে হবে প্ব্বার্শভূমিকা, অনেকটা অতিরিক্ত পেসারদের মতো।’
প্রথম ইনিংসে স্পিনারদের ভূমিকা থাকবে রান আটকানোর। পরিস্থিতি বুঝে দ্বিতীয় ইনিংসে ভূমিকা বদল করতে পারেন তারা, ‘এখানে স্পিনাররা দেশের মতো সুবিধা পাবে না। তাদের প্রথম ইনিংসে ৬০ রানে বা ৭০ রানে ২ উইকেট নেওয়ার চেষ্টা চালাতে হবে। তারপর দেখা যাবে দ্বিতীয় ইনিংস আপনাকে কী দেয়। এটাই ঠিক পথ।’
এসব দায়িত্ব নিতে ভেট্টোরির হাতে আছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, তাইজুল ইসলাম, নাঈম হাসানরা। বাংলাদেশের স্পিন কোচ হয়ে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই প্রথম সিরিজ ভেট্টোরির। এই স্পিনারদের এবারই প্রথম দেখেছেন তিনি। তবু সাকিব আল হাসান না থাকার পরও দলে থাকা স্পিনারদের নিয়ে ভীষণ আশাবাদী তিনি, ‘আমি খুব রোমাঞ্চিত। তাইজুল আর মিরাজকে জানি। আমার মনে হয় নাঈম বিশেষ প্রতিভা। বিপ্লবের বোলিংয়ে আমি মুগ্ধ। আরও কয়েকজনকে ঢাকায় দেখেছি। আমার জন্য এটা দারুণ সুযোগ। অনেক কাজ করার আছে। খুব ভালো একটা গ্রুপ আছে।’
Comments