রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’তে শঙ্কিত আইসিসি: প্রসিকিউটর

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর ফাতু বেনসৌদা বলেছেন, আইসিসির বিচারকরা শঙ্কিত যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’ গ্রহণ করতে পারে।
rohingya-refugee-camps-1_0_0.jpg
মিয়ানমারে জাতিগত সহিংসতার কারণে গত বছরের আগস্ট থেকে নতুন করে সাত লাখের বেশি রোহিঙ্গা সীমান্ত পেরিয়ে প্রতিবেশী বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়। ছবি: রয়টার্স

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতের (আইসিসি) প্রসিকিউটর ফাতু বেনসৌদা বলেছেন, আইসিসির বিচারকরা শঙ্কিত যে, মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার ‘রাষ্ট্রীয় নীতি’ গ্রহণ করতে পারে।

এই নারী কর্মকর্তা আজ (২৩ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেন, “যুক্তিসংগত কারণে বিচারকের এই বিশ্বাস জন্মেছে যে, সেখানে মিয়ানমার রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর হামলার রাষ্ট্রীয় নীতি গ্রহণ করতে পারে।”

রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মিয়ানমারের পরিকল্পিত অপরাধের তদন্ত শুরুর ব্যাপারে আইসিসির অনুমোদনের পরে এক বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।

বিচারকদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রসিকিউটর বলেন, “সেখানে বিভিন্ন সূত্র নিশ্চিত করেছে যে, মিয়ানমারের বিভিন্ন সরকারি বাহিনীর উপস্থিতিতে এবং রাষ্ট্রীয় অন্যান্য সংস্থা ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তা সংস্থা ও কিছু স্থানীয় লোকদের যৌথ অংশগ্রহণে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হতে পারে।”

অপরাধ অভিযোগ গ্রহণ করে বিচারকদের পর্যবেক্ষণ তুলে ধরে প্রসিকিউটর বলেন, “এই দমন কার্যক্রম এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অথবা জাতিগত নিধনের অভিযোগ মানবতাবিরোধী অপরাধ হিসেবে গণ্য হতে পারে।”

বিচারকরা বৃহত্তর পরিসরে এই অপরাধ তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন উল্লেখ করে বেনসৌদা এটিকে মিয়ানমারের নৃশংসতার বিরুদ্ধে একটি বড় অগ্রগতি হিসেবে বর্ণনা করেছেন।

১৪ নভেম্বর প্রি-ট্রায়াল চেম্বার তৃতীয় আদালতের বিচারকরা ‘বাংলাদেশ-মিয়ানমার পরিস্থিতি’ নিয়ে তদন্তের জন্য প্রসিকিউটর অফিসকে নির্দেশ দিয়েছে।

এতে উল্লেখ করা হয়, মিয়ানমার আইসিসির সদস্য দেশ নয়, এজন্য দেশটি আইসিসির পক্ষ নয়। তবে বাংলাদেশ আইসিসির পক্ষ। প্রসিকিউটর চেম্বার আদালতের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়ে বলেছে, আদালত বলেছে মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত অতিক্রম করে যে সব বেসামরিক নাগরিক বাধ্য হয়ে বাংলাদেশে এসেছে, তারা হত্যা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে এখানে এসেছে, এই ঘটনায় সুস্পষ্টভাবে ভৌগোলিক সংযোগ রয়েছে। এটি মিয়ানমারের অপরাধ প্রমাণের জন্য যথেষ্ট।

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago