ভিদালের নৈপুণ্যে পিছিয়ে পড়েও জিতল বার্সেলোনা

ছবি: এএফপি

ম্যাচের ৫৭তম মিনিটে বদলী খেলোয়াড় হিসেবে নেমেছেন আর্তুরো ভিদাল। বদলী নেমেই ম্যাচের পার্থক্য গড়ে দিয়েছেন। স্বস্তিদায়ক গোল করেছেন, হয়েছে ম্যাচ সেরাও। চিলির এ মিডফিল্ডারের নৈপুণ্যেই পিছিয়ে পড়েও লেগানেসের মাঠে জয় পেয়েছে বার্সেলোনা। ২-১ গোলের স্বস্তির জয়ে শীর্ষস্থান মজবুদ করল কাতালান ক্লাবটি।

এদিন ম্যাচে আক্রমণ ভাগে চার জন খেলোয়াড় দিয়ে খেলিয়েছেন বার্সা কোচ এরনেস্তো ভালভার্দে। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও আতোঁয়ান গ্রিজমানের সঙ্গে ছিলেন উসমান দেম্বেলেও। মাঝে মাঠে খেলেছেন দুইজন। সের্জিও বুসকেতসের সঙ্গে ফ্রাঙ্কি ডি ইয়ং। ফলে মাঝ মাঠের দখল প্রায়ই হারিয়েছে তারা। ম্যাচের দ্বাদশ মিনিটে মাঝ মাঠে বল হারিয়েই পিছিয়ে পড়ে দলটি। পরে রকি মেসার কাছ বল পান ইউসুফ আন-নেসিরি। ডি-বক্সে ঢুকে কোনাকুনি শটে লক্ষ্যভেদ করেন মরক্কোর এই ফরোয়ার্ড।

তিন মিনিট পর ব্যবধান বাড়াতে পারতো দলটি। এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে জোরালো শট নিয়েছিলেন অস্কার রদ্রিগেজ। কিন্তু বারপোস্ট ঘেঁষে সে শট বাইরে গেলে সে যাত্রা বেঁচে যায় বার্সা। ২৩তম মিনিটে দিনের সবচেয়ে সহজ সুযোগটি মিস করেন সুয়ারেজ। মেসির পাস থেকে ফাঁকায় বল পেলে প্রথম দফায় বল নিয়ন্ত্রণ করতে না পাড়ায় সুযোগটি নষ্ট হয়।

৩১তম মিনিটে ওসমান দেম্বেলের ক্রস থেকে দারুণ হেড নিয়েছিলেন সুয়ারেজ। ঝাঁপিয়ে তা কর্নারের বিনিময়ে ফিরিয়ে দেন লেগানেস গোলরক্ষক ইভান কুয়েলার। ৩৮তম গোল পেতে পারতো লেগানেসও। রুবেন পেরেজের পাস থেকে দারুণ ভলি নিয়েছিলেন মেসা। তবে গোলরক্ষক মার্ক টের স্টেগেনের দৃঢ়তায় কোন বিপদ হয়নি বার্সার। প্রথমার্ধের শেষ দিকেও সুযোগ ছিল এগিয়ে যাওয়ার। তবে আন-নেসিরি ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন স্টেগেন।

তবে দ্বিতীয়ার্ধেই এগিয়ে যেতে পারতো বার্সেলোনা। মেসির নেওয়া কর্নার থেকে দারুণ হেড নিয়েছিলেন জেরার্দ পিকে। কিন্তু বারপোস্টে লেগে ফিরে আসলে হতাশা বাড়ে দলটির। তবে সমতায় ফিরতে খুব বেশি সময় নেয়নি দলটি। ৫৩তম মিনিটে ফ্রি কিক থেকে মেসির নেওয়া ক্রসে দারুণ হেডে লক্ষ্যভেদ করেন লুইস সুয়ারেজ।

৫৭তম মিনিটে গ্রিজমান ও বুসকেতস উঠিয়ে ভিদাল ও ইভান রাকিতিচকে মাঠে নামান ভালভার্দে। বার্সেলোনার খেলাতেও যেন প্রাণ ফিরে আসে। সে মিনিটেই এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ ছিল বার্সার। ডি ইয়ংয়ের পাস থেকে মেসির নেওয়া শট দারুণ দক্ষতায় ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে দেন গোলরক্ষক ইভান।

৭৯তম মিনিটে পেরেজের দূরপাল্লার শট ফিরিয়ে দেন স্টেগেন। কাউন্টার অ্যাটাকে এগিয়ে যায় বার্সেলোনা। যদিও অফসাইড পজিশনে ছিলেন আর্তুরো ভিদাল। তবে কর্নার থেকে সৃষ্ট জটলায় পেরেজের পায়ে লেগে বল টিকে যায় সে গোল। ভিএআর দেখে সিদ্ধান্ত জানান রেফারি।

নির্ধারিত সময়ে শেষ মুহূর্তে মেসির সঙ্গে দেওয়া নেওয়া করে গোল দেওয়ার ভালো সুযোগ ছিল দেম্বেলের। কিন্তু গোলরক্ষক বরাবর শট নিলে নষ্ট হয় সে সুযোগ। তারপরও জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে দলটি। ১৩ ম্যাচে ৯টি জয় ও একটি ড্রয়ে ২৮ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে আছে বার্সেলোনা।

 

Comments

The Daily Star  | English

No clear roadmap for investment

The budget for FY26 has drawn strong criticism from business leaders who say it lacks a clear roadmap for improving the investment climate, bolstering industrial competitiveness, and implementing overdue reforms in the banking sector.

14h ago