বাউন্সারে বারবার বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা কেন আঘাতপ্রাপ্ত, ব্যাখ্যা পূজারার
প্রথম দিনেই মোহাম্মদ শামির বাউন্সারে মাথায় আঘাত পেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান লিটন দাস ও নাঈম হাসান। দ্বিতীয় দিনে ইশান্তের বাউন্সারে লুটিয়ে পড়েন মোহাম্মদ মিঠুন। উমেশ যাদবের বাউন্সারে ভড়কে যান মুশফিকুর রহিমও। এক টেস্টে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের এতবার বাউন্সারে আঘাত পাওয়ার ঘটনার ব্যাখ্যা দিয়েছেন ভারতের ব্যাটসম্যান চেতশ্বর পূজারা।
কলকাতা টেস্টের প্রথম দিনে শামির বাউন্সার লাগে লিটনের হেলমেটে। মাথায় খুব জোরে বল লাগার পর মাঠেই খানিকক্ষণ শুশ্রূষার পর উঠে দাঁড়িয়ে পরের বলেই আরেক বাউন্সারে চার মেরেছিলেন লিটন, খেলছেন আরও কিছু সময়। এরপর অস্বস্তি লাগায় বেরিয়ে যান তিনি। তার জায়গায় কনকাশন বদলি হিসেবে নামানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে।
এরপর একই দশা হয় নাঈম হাসানের। শামির বাউন্সারে আঘাতের পরও ব্যাটিং চালিয়েছেন। ১৯ রানে আউট হয়ে ফেরার পর তার জায়গায়ও কনকাশন বদলি নেয় বাংলাদেশ। মাঠে নামেন তাইজুল ইসলাম।
এক টেস্টে দুটি কনকাশন বদলির প্রথম নজিরও তৈরি হয় এই ইডেন টেস্টে। বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের বাউন্সারে এমন কাবু হওয়া টেকনিকের ঘাটতি কিনা এমন প্রশ্ন উঠেছে। তবে ভারতের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান চেতশ্বর পূজারা বলছেন ভিন্ন কথা। শনিবার (২৩ নভেম্বর) দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, কৃত্রিম আলো আর গোলাপি বল এতে ভূমিকা রেখেছে। আমার মনে হয়, এই ধরনের পরিস্থিতিতে শর্ট বল পিক করা সহজ নয়, বিশেষ করে আমাদের পেসাররা যে গতিতে বল করে। আমার মনে হয়, এটা গোলাপি বলের জন্য হচ্ছে। তাদের ব্যাটসম্যানরা আগে কখনো গোলাপি বলে খেলেনি, এমনকি প্রস্ততি ম্যাচও না। কাজেই এটা একদমই সহজ ছিল না।’
Comments