শান্তকে নিয়ে নাটকীয়তা
দুজন খেলোয়াড় ম্যাচ থেকে ছিটকে যাওয়ার পর প্রথম দিনের খেলা শেষেই দেশ থেকে একজন ব্যাটসম্যান উড়িয়ে আনার কথা ভেবেছিল টিম ম্যানেজমেন্ট। দ্বিতীয় দিন দুপুরে চূড়ান্ত হয় ব্যাকআপ হিসেবে আসবেন নাজমুল হাসান শান্ত। কিন্তু ম্যাচের গতি-প্রকৃতি বদলে যাওয়ায় শেষ মুহূর্তে বাতিল করা হয় তা!
শনিবার (২৩ নভেম্বর) ইডেন টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা চলাকালীন শান্ত নিজেও মিরপুরে ইমার্জিং কাপের ফাইনালে খেলছিলেন। কথা ছিল, ফাইনাল শেষ করে রাত ৯টার ফ্লাইট ধরে কলকাতা চলে আসবেন তিনি। এমনকি দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে বাংলাদেশ দলের মিডিয়া ম্যানেজারও জানান, উড়ে আসছেন শান্ত, রাতে যোগ দেবেন দলে। যদিও তার আগেই শান্তর কলকাতা আসা বাতিল হয়ে যায়, যে খবর পৌঁছানো হয়নি মিডিয়া ম্যানেজারের কানে!
শান্ত এলে কোনো টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন সেই টেস্টে খেলানোর জন্যই ব্যাক-আপ খেলোয়াড় আনার ব্যতিক্রমী নজির গড়ত বাংলাদেশ! তবে তার আসা-না আসা নিয়ে যে সিদ্ধান্তের দোলাচল চলেছে, তাতে টিম ম্যানেজমেন্টের অপ্রস্তুত ভাবটা প্রকাশ হয়ে গেছে।
ভারতের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ শুরুর আগেই মায়ের অসুস্থতায় দেশে গিয়ে আর ফেরত আসেননি মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। আনা হয়নি তার বিকল্পও। প্রথম টেস্টেই চোটে পড়েন একাদশের বাইরে থাকা একমাত্র ব্যাক-আপ ব্যাটসম্যান সাইফ হাসান। সময় পেয়েও তার ব্যাক-আপ নেয়নি বাংলাদেশ।
এই অবস্থায় নেমে লিটন দাস যখন মাথায় আঘাত পেয়ে ম্যাচ থেকে ছিটকে যান, বিপাকে পড়ে দল। বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান হিসেবে কনকাশন বদলি হিসেবে নামানো হয় মেহেদী হাসান মিরাজকে। একই দিনে নাঈম হাসানও বাউন্সারের আঘাতে মাঠ ছাড়লে কনকাশন বদলি হয়ে নামেন তাইজুল ইসলাম।
এই দুজন মাঠে নেমে যাওয়ায়, একাদশের বাইরে একমাত্র ফিট খেলোয়াড় এখন মোস্তাফিজুর রহমান। অর্থাৎ দ্বিতীয় দিনে একসঙ্গে দুজন বদলি ফিল্ডার নেওয়ার অবস্থাতেও ছিল না দল।
এর মধ্যে দ্বিতীয় ইনিংসেও বাউন্সারে কাবু হন মোহাম্মদ মিঠুন ও মুশফিকুর রহিম। যদিও তাদের আঘাত সামান্য। প্রয়োজন পড়েনি কোনো কনকাশন বদলির।
তৃতীয় দিনে শেষ ৪ উইকেট নিয়ে ইনিংস হার এড়াতে বাংলাদেশের দরকার আরও ৮৯ রান। এই অবস্থায় ব্যাক-আপ খেলোয়াড় দলে যুক্ত করলে তা হতো বিস্ময়কর।
Comments