মাদ্রাসার পরিত্যক্ত ভবনের ছাদ ধসে অর্ধশত শিক্ষার্থী আহত
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ফরাজিকান্দি কমপ্লেক্সের আল-আমিন এতিমখানার পরিত্যক্ত ভবনের ছাদ ধসে অন্তত ৪৪ শিক্ষার্থী আহত হয়েছে।
আহতদের মতলব উত্তর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, দক্ষিণ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ১২ জন। গুরুতর আহত একজন শিশু শিক্ষার্থীকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
গতকাল (২৩ নভেম্বর) রাত ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার খবর পেয়ে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা (ইউএনও) ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী আবু তাহের জানান, ভবনটির দ্বিতীয় তলায় ছাদে শিক্ষকের সঙ্গে শতাধিক শিক্ষার্থী বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ বিষয়ে একত্রিত হলে দুর্ঘটনা ঘটে। একত্রিত হওয়া শিক্ষার্থীসহ ছাদের মাঝখানের অংশ ধসে নিচে পড়ে যায়।
সেসময় ওই স্থানে থাকা অন্তত ৪৪ জন শিক্ষার্থী আহত হয়, উল্লেখ করেন তিনি আরও জানান, পরে দমকল বাহিনী ও স্থানীয় লোকজন এসে আহতদের উদ্ধার করে।
মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা আহম্মদ উল্যাহ বলেন, “আহত শিক্ষার্থীদের মধ্যে সিয়ামের (১০) অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়েছে।”
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মো. শহীদ উল্যাহ বলেন, “বিজয় দিবসের প্রস্তুতির জন্য ছাত্রদের ছুটি দেওয়া হয়নি। কিছু শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বলার জন্য ডেকে আনা হয় ঘটনাস্থলে। তারা একত্রিত হলেই দুর্ঘটনা ঘটে।”
চাঁদপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ শওকত ওসমান বলেন, “ঘটনার পরেই চাঁদপুর জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান, পুলিশ সুপার মো. মাহবুবুর রহমানসহ আমরা তিনটি হাসপাতাল ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে সার্বিক যোগাযোগ রক্ষা করেছি। ঘটনাস্থলের ওই ভবনটি আগে থেকেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। এরপরও সেখানে উপস্থিত হওয়ার বিষয়টি আমরা খতিয়ে দেখছি।”
চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক মো. মাজেদুর রহমান খান বলেন, “আহতদের সবার সঙ্গে কথা হয়েছে। তারা এখন ভালো আছে। আহত শিক্ষার্থীদের সার্বক্ষণিক চিকিৎসার খোঁজ খবর রাখছি।”
Comments