বাংলাদেশকে গুঁড়িয়ে নতুন উচ্চতায় কোহলির ভারত
টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের এক নম্বর দল ভারত একের পর এক গুঁড়িয়ে দিচ্ছে তাদের প্রতিপক্ষকে। বাংলাদেশের বিপক্ষে দুই ম্যাচের সিরিজের দুটিতেই বিরাট কোহলিরা জিতেছেন ইনিংস ব্যবধানে। সোয়া দুই দিনে কলকাতা টেস্ট জিতে নিয়ে নতুন এক রেকর্ডও গড়েছে দলটি। টেস্ট ইতিহাসের প্রথম দল হিসেবে টানা চার টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জেতার অনন্য কীর্তি গড়েছে তারা।
রবিবার (২৪ নভেম্বর) ইডেন গার্ডেন্সে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে বাংলাদেশের লড়াই টিকেছে মাত্র ৪৭ মিনিট। বলের হিসাবে ৫২টি। চোটে থাকা মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ আর ব্যাট করতে না নামায় নবম উইকেটের পতন হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশ দ্বিতীয় ইনিংসে গুটিয়ে গিয়েছে ১৯৫ রানে। ফলে ইনিংস ও ৪৬ রানে ম্যাচ জিতেছে ভারত। দুই ম্যাচের সিরিজে মুমিনুল হকদের হোয়াইটওয়াশ করেছে তারা।
ইন্দোরে আগের টেস্টে বাংলাদেশকে ইনিংস ও ১৩০ রানে জিতেছিল ভারত। তার আগে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সবশেষ তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজের শেষ দুটিতেও ইনিংসে জিতেছিল ভারতীয়রা। পুনেতে ইনিংস ও ১৩৭ রানে জেতার পর রাঁচিতে তাদের জয়টা এসেছিল ইনিংস ও ২০২ রানে। অর্থাৎ টানা চার টেস্টে ইনিংস ব্যবধানে জিতেছে দলটি।
রেকর্ডের শেষ নয় এখানেই। চলতি বছর মোট আটটি টেস্ট খেলেছে ভারত। অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে বছরের শুরুর ম্যাচটি ড্র করার পর টানা সাত টেস্ট জিতেছে তারা। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো সাদা পোশাকে টানা সাত ম্যাচ জেতার কীর্তি গড়েছে দলটি। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ২-০ ও দক্ষিণ আফ্রিকাকে ৩-০ ব্যবধানে হারানোর পর বাংলাদেশকেও তারা উড়িয়ে দিয়েছে ২-০ ব্যবধানে।
কলকাতা টেস্টে বাংলাদেশের ২০ উইকেটের সবগুলো নিয়েছেন ভারতের পেস ত্রয়ী। ইশান্ত শর্মা, উমেশ যাদব ও মোহাম্মদ শামির নৈপুণ্যে নিজেদের মাটিতে ভারত প্রথমবার একটি টেস্ট ম্যাচ জিতেছে, যেখানে দলটির স্পিনাররা কোনো উইকেট পাননি। সবমিলিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ঘটেছে এমন ঘটনা। ২০১৮ সালে জোহানেসবার্গে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট জয়ে প্রতিপক্ষের সবগুলো উইকেট নিয়েছিলেন ভারতের পেসাররা।
ঘরের মাঠে টানা সবচেয়ে বেশি টেস্ট সিরিজ জেতার রেকর্ড আগে থেকেই ভারতের দখলে রয়েছে। বাংলাদেশকে হারিয়ে সংখ্যাটাকে ১২-তে উন্নীত করেছে দলটি।
বাংলাদেশ-ভারত কলকাতা টেস্টে সবমিলিয়ে বল হয়েছে ৯৬৮টি। দেশটির মাটিতে সবচেয়ে কম সংখ্যক ডেলিভারিতে ম্যাচের ফল আসার রেকর্ডও এটি। গেল বছর আফগানিস্তানকে দুদিনের মধ্যে হারিয়েছিল ভারত। ওই টেস্টে বল হয়েছিল ১০২৮টি।
Comments