এখন হরেকরকম শেখার বিষয় দেখছেন মুমিনুল
মাঠে ব্যাটিং আর সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন। ভারত সফরে মুমিনুল হক কঠিন সময় পার করেছেন দুই জায়গায়। আরও একবার দেশের বাইরে তার ব্যাট কথা বলেনি। দুই টেস্টে চার ইনিংস মিলিয়ে করতে পেরেছেন ৪৪ রান। দেশের বাইরে গত ১১ ইনিংসে তার রান মাত্র ৭৬। অধিনায়কত্ব পেয়েছেন, দল হারছে তো বটেই, দেখাতে পারছে না কোনো নিবেদন।
এমন অবস্থায় বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়কের আত্ম-উপলব্ধিতে আছে কেবল শেখার কথা। যেসব কথা টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ সময় থেকে বলে আসছেন দলের ক্রিকেটাররা।
ব্যাটসম্যানদের ঘাটতি কি?
‘এই সিরিজ থেকে আমাদের অনেক কিছু শেখার আছে। এই বোলারদের বিপক্ষে কীভাবে খেলবেন। এই মানের বোলারদের সামলাতে পরবর্তীতে কিভাবে প্রস্তুতি নিবেন। দল হিসেবে আমার মনে হয়, সবাই ওই শিক্ষাটা নেবে। এই শিক্ষাটা পরের সিরিজে অনেক বেশি কাজে দিবে।’
‘আমার চোখে টেকনিক্যাল কোনো সমস্যা ধরা পড়েনি। টেকনিকের তো উন্নতির শেষ নেই। আমরার মনে হয়, সবার উন্নতির চেষ্টা করতে হবে। আমাদের সবার টেকনিক্যাল ও টেকনিক্যাল উন্নতির চেষ্টা করতে হবে।’
দল হিসেবে কি শিখলেন?
‘শিক্ষা তো অনেক কিছুই আছে। কীভাবে পেস বলের চ্যালেঞ্জ নেওয়া যায়। সেশন বাই সেশন কিভাবে খেলবে। গোলাপি বলে শিক্ষা হয়েছে। নতুন বলে গোলাপি বল কঠিন, এটা কাজে দেবে।’
দলের তরুণদের প্রতি কি বার্তা আপনার?
‘সে শিক্ষাটা হয়েছে, এই সিরিজ থেকে যদি নিতে পারে, তাহলে পরের সিরিজে দেখতে পারবেন। না পেলে, মনে হবে, শিক্ষাটা নিতে পারেনি।’
নিজের এমন পারফরম্যান্স, গড় ৪০ এর নিচে নেমে যাওয়া:
‘আমি গড় নিয়ে বেশি ভাবছি না। দলের ফল নিয়ে একটু হতাশ। সেটা স্বাভাবিকও। যখন এমন ফল হয়, তখন খারাপ লাগা স্বাভাবিকই। হয়তো আমি এখন সংগ্রাম করছি। সংগ্রাম থেকেই মানুষ ভালো কিছু পায়, হয়তো আমিও পাব।’
সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল না থাকায় বাংলাদেশের হয়েছে এমন হাল। ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলছেন এমন কথা। এই দুই ক্রিকেটারের অভাব টের পাওয়ার কথা বলছেন মুমিনুলও। পাশাপাশি তার মনে হচ্ছে, এদের জায়গায় নিজেদের মেলে ধরার সুযোগ ছিল, সেটা হারিয়েছেন তারা। তিনি নিজেও মিস করেছেন সুযোগ। এখানেও এর থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথাই বললেন বাংলাদেশের নতুন টেস্ট কাপ্তান।
Comments