হংকংয়ের নির্বাচনে ‘চীনবিরোধী’দের বিজয়

আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংকে পুরোপুরিভাবে নিজের অধীনে আনার চেষ্টা চীনের দীর্ঘদিনের। সেজন্যে নেওয়া হচ্ছে জনসেবামূলক কর্মসূচি। এর বিনিময়ে হংকংবাসীদের দেওয়া হচ্ছে চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরামর্শ। অর্থাৎ, ধীরে ধীরে চীনের প্রতি অনুগত হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন তারা। কিন্তু, চীনের অধীনে থাকতে চান না হংকংবাসী। তারা চান স্বাধীনতা। সেই প্রমাণ তারা দিলেন গতকালকের নির্বাচনে।
২৫ নভেম্বর ২০১৯, চীনশাসিত হংকংয়ে চীনবিরোধী প্রার্থীদের বিজয়ের পর সমর্থকদের উল্লাস। ছবি: এএফপি

আধা-স্বায়ত্তশাসিত হংকংকে পুরোপুরিভাবে নিজের অধীনে আনার চেষ্টা চীনের দীর্ঘদিনের। সেজন্যে নেওয়া হচ্ছে জনসেবামূলক কর্মসূচি। এর বিনিময়ে হংকংবাসীদের দেওয়া হচ্ছে চীনের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠ হওয়ার পরামর্শ। অর্থাৎ, ধীরে ধীরে চীনের প্রতি অনুগত হওয়ার পথ দেখাচ্ছেন তারা। কিন্তু, চীনের অধীনে থাকতে চান না হংকংবাসী। তারা চান স্বাধীনতা। সেই প্রমাণ তারা দিলেন গতকালকের নির্বাচনে।

গতকাল (২৪ নভেম্বর) হংকংয়ে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভূমিধস বিজয় পেয়েছে ‘চীনবিরোধী’রা। নির্বাচনে ১৮টি জেলা কাউন্সিলে মোট ৪৫২ আসনের মধ্যে চীনবিরোধী হিসেবে পরিচিত গণতন্ত্রপন্থিরা পেয়েছেন ৩৮৮ আসন। চীনপন্থিরা পেয়েছেন মাত্র ৫৯টি আসন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যমগুলো বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা এএফপি জানায়, নির্বাচনের ফলাফল চীন সরকার ও হংকংয়ের চীনপন্থি প্রধান নির্বাহী ক্যারি ল্যামের প্রতি চরম অনাস্থার প্রকাশ।

ভোট বিপ্লব

হংকংয়ে চীনের হস্তক্ষেপ কমানোর দাবিতে চলতি বছরের শুরু থেকে উত্তাল ছিলো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধ এই অঞ্চলটি। আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন মূলত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীরা।

হংকংয়ের প্রধান নির্বাহী ল্যাম চীনের বিচার-ব্যবস্থা মেনে যেকোনো অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের অনুমতি দিয়ে একটি বিল পাশ করার চেষ্টা করলে আন্দোলনে নামেন শিক্ষার্থীরা। সেই বিলটি পরে প্রত্যাহার করে নিলেও গণরোষের কোনো কমতি দেখা যায়নি। ধীরে ধীরে সেই আন্দোলন সহিংস হয়ে উঠে। পুলিশের সঙ্গে ঘন ঘন সংঘর্ষ বাধে চীনবিরোধীদের।

এমন পরিস্থিতিতে অনুষ্ঠিত হয় হংকংয়ের স্থানীয় নির্বাচন। নির্বাচনটিকে চীন সরকার ও হংকং প্রশাসকের জন্যে ‘অগ্নিপরীক্ষা’ হিসেবে দেখা হচ্ছিলো। এ নিয়ে দুই পক্ষই ছিলো স্নায়ুবিক উত্তেজনায়।

হংকংয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক ইউলি ল্যাম বলেন, “এটিকে বিপ্লব বললে বেশি বলা হবে না।” ভোটের এই ফলাফলের মাধ্যমে “হংকং প্রশাসন এবং চীনের হংকংনীতির প্রতি চরম অনাস্থা” প্রকাশিত হয়েছে।

Comments

The Daily Star  | English

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

1h ago