ইনিংস ব্যবধানেই হারল ইংল্যান্ড

আগের দিনই নাটকীয়ভাবে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে ছিল ইংল্যান্ড। শেষ দিনে তাই দাঁতে দাঁত কামড়ে ব্যাট করে যেতে হতো জো রুট-জস বাটলারদের। করতে পারেননি তারা। মূলত নিল ওয়েগনারের দুর্দান্ত বোলিং তোপে পড়ে পারল না দলটি। ফলে ইনিংস ব্যবধানেই হারতে হলো ইংলিশদের। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ইনিংস ও ৬৫ রানে জয় তুলে নিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।
ছবি: এএফপি

আগের দিনই নাটকীয়ভাবে তিন উইকেট হারিয়ে ব্যাকফুটে ছিল ইংল্যান্ড। শেষ দিনে তাই দাঁতে দাঁত কামড়ে ব্যাট করে যেতে হতো জো রুট-জো ডেনলিদের। করতে পারেননি তারা। মূলত নিল ওয়েগনারের দুর্দান্ত বোলিং তোপে পড়ে পারল না দলটি। ফলে ইনিংস ব্যবধানেই হারতে হলো ইংলিশদের। মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্টে ইনিংস ও ৬৫ রানে জয় তুলে নিল স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড।

আগের দিনের ৩ উইকেটে ৫৫ রান নিয়ে পঞ্চম দিন শুরু করে ইংল্যান্ড। সকালের শুরুটা বেশ সাবধানতায় কাটান রুট ও ডেনলি। কিন্তু এক ঘণ্টা পার হতেই ধৈর্য হানা রুট। কলিন ডি গ্রান্ডহোমের অফস্টাম্পের বাইরের খেলতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। পরে ডেনলির সঙ্গে দেখে শুনে ব্যাট করছিলেন বেন স্টোকস। লাঞ্চের আগ পর্যন্ত সব ঠিকঠাকই ছিল।

কিন্তু লাঞ্চের পর টিম সাউদির অফস্ট্যাম্পের বাইরে করা বল কাট করতে গিয়ে উইকেটে টেনে বোল্ড হয়ে যান স্টোকস। ম্যাচ বাঁচানোর সম্ভাবনায় বড় ধাক্কাটা তখনই লাগে। এরপর শুরু হয় ওয়াগনারের বোলিং তোপ। পাঁচ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট তুলে নিলে কার্যত তখনই হেরে বসে ইংল্যান্ড। সর্বোচ্চ ৩৫ রান করা ডেনলিকে ফেরান বাড়তি বাউন্সে। আম্পায়ার আউট না দিলেও সফল রিভিউতে সাজঘরে ফেরেন তিনি। পরের ওভারে অলি পোপকেও ফেরান। আর জস বাটলারকে তো রানের খাতায় খুলতে দেননি।

দলের হার যখন প্রায় নিশ্চিত তখন দারুণ লড়াই করেন স্যাম কারান ও জফরা আর্চার। নবম উইকেটে ৫৯ রানের জুটিতে প্রতিরোধ গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। এ জুটিও ভাঙেন ওয়েগনার। পরের বলে স্টুয়ার্ট ব্রডকে তুলে নিলে ইনিংস ব্যবধানে হারই নিশ্চিত হয়ে যায় ইংলিশদের।

১৪২ বলে সর্বোচ্চ ৩৫ রানের ইনিংস খেলেন ডেনলি। ৫০ বলে আর্চার করেন ৩০ রান। স্যাম কারান অপরাজিত থাকেন ২৯ রানে। স্টোকসের ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। নিউজিল্যান্ডের পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন ওয়েগনার। ৩টি উইকেট পান স্যান্টনার।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৩৫৩

নিউজিল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৬১৫/৯ ডিঃ

ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (চতুর্থ দিন ৫৫/৩) ৯৬.২ ওভারে ১৯৭/১০ (বার্নস ৩১, সিবলি ১২, ডেনলি ৩৫, লিচ ০, রুট ১১, স্টোকস ২৮, পোপ ৬, বাটলার ০, কারান ২৯*, আর্চার ৩০, ব্রড ০; সাউদি ১/৬০, বোল্ট ০/৬, গ্র্যান্ডহোম ১/১৫, স্যান্টনার ৩/৫৩, ওয়েগনার ৫/৪৪, উইলিয়ামসন ০/৬)।

ফলাফল: নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৬৫ রানে জয়ী।

ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: বিজে ওয়াটলিং।

Comments

The Daily Star  | English
BTCL Logo

BTCL’s Tk 463Cr 5G Project: Huawei’s win marred by controversy

It is often said that government files move at a snail’s pace in Bangladesh, slowing down the speed of project implementation.

11h ago