আলোর নাচনে ঐতিহ্যবাহী রাখের উপবাস

কথিত আছে, দুরারোগ্য ব্যাধি থেকে বাঁচতে কার্তিক মাসে উপবাস পালন করে আশ্রম প্রাঙ্গণে প্রদীপ ও ধূপ জ্বালাতে বলেছিলেন বাবা লোকনাথ। সেই থেকে প্রিয়জনের মঙ্গল কামনায় প্রতিবছর কার্তিক মাসের শেষ ১৫ দিনের প্রতি শনি ও মঙ্গলবার এই উপবাস বা ‘কার্তিকব্রত’ পালন করেন লোকনাথভক্তরা।

রাখের উপবাস উপলক্ষে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় পুণ্যার্থীর মিলনমেলা ঘটে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শ্রী শ্রী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রমে৷

উৎসব উপলক্ষে আশ্রম প্রাঙ্গণে জমে ওঠে জমজমাট মেলা। কলাপাতা, ফুল, ধান-দূর্বা, মাটির প্রদীপ, ঘি, ডাব, দুধ ও নানা রকম মিষ্টির পসরা সাজিয়ে বসেন বিক্রেতারা।

বাড়ি থেকে আনা ফলমূল কিছুক্ষণের জন্য রাখা হয় বাবা লোকনাথের মূর্তির সামনে। তারপর সেগুলো নিয়ে সন্ধ্যা নামার আগে সারিবদ্ধভাবে আশ্রম ঘিরে বসতে শুরু করেন পুণ্যার্থীরা৷ সামনে কলাপাতার ওপর রাখা হয় ঘিয়ের প্রদীপ। বিপদ থেকে রক্ষার জন্য যে কয়জন আপনজনের উদ্দেশে প্রার্থনা করা হয়, গুনে গুনে সেই কটি প্রদীপই সামনে রাখেন তারা।  অপেক্ষায় থাকেন সূর্য ডোবার৷

সূর্যাস্তের সঙ্গে সঙ্গে বেজে ওঠে ঘণ্টা। উলুধ্বনির মধ্য দিয়ে সবাই একযোগে জ্বালাতে শুরু করে প্রদীপ। একসঙ্গে জ্বলে ওঠে শত শত প্রদীপ। সমগ্র এলাকাজুড়ে শুরু হয় এক আলোর নাচন।

প্রদীপ জ্বালানো হলে ধূপের ধোয়ায় আচ্ছন্ন আশ্রমে আপনজনের জন্য কল্যাণ কামনা করে প্রার্থনায় মগ্ন হন পুণ্যার্থীরা৷

সন্ধ্যায় প্রদীপ প্রজ্বালন শেষ হলে উপবাস ভাঙার মধ্যদিয়ে শেষ হয় এই ব্রত।

বিস্তারিত দেখুন ভিডিওতে…

Comments

The Daily Star  | English

Govt forms committee to probe last 3 polls

Former High Court justice Shamim Hasnain has been made the chairman of the committee

35m ago