আইএস টুপির উৎস কী?

হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি সংগঠন আইএসের ‘স্লোগান সম্বলিত’ টুপি পরে পুলিশি প্রহরায় বের হয়ে আসার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কড়া পাহারায় কারাগারে থাকা এসব জঙ্গিরা আইএসের টুপি সংগ্রহ করলো কীভাবে? এই টুপির উৎস কী?
২৭ নভেম্বর ২০১৯, আইএস টুপি পড়ে আদালত থেকে পুলিশি প্রহরায় বের হচ্ছে হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান। ছবি: আনিসুর রহমান

হোলি আর্টিজানে জঙ্গি হামলায় মৃতুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি রাকিবুল হাসান ওরফে রিগ্যান আদালত প্রাঙ্গণ থেকে জঙ্গি সংগঠন আইএসের ‘স্লোগান সম্বলিত’ টুপি পরে পুলিশি প্রহরায় বের হয়ে আসার ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। প্রশ্ন উঠেছে, কড়া পাহারায় কারাগারে থাকা এসব জঙ্গিরা আইএসের টুপি সংগ্রহ করলো কীভাবে? এই টুপির উৎস কী?

সূত্র জানায়, এর আগেও শুনানির সময় হামলাকারী জঙ্গিদের তথাকথিত ধর্মীয় প্রশিক্ষক রিগ্যান কালো টুপি পরে আসতেন। কিন্তু, সেসব টুপিতে আইএসের কোনো লোগো ছিলো না।

আজ (২৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর আসামি রিগ্যান পকেট থেকে আইএস টুপি বের করে পরে। আদালতে উপস্থিত ডেইলি স্টারের সংবাদদাতা জানান, মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা যখন ‘আল্লাহু আকবর’ স্লোগান দেয় তখন সে টুপি পরে।

ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মাহবুবুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমাদের এখানে পূর্ণ তল্লাশি শেষে, সবকিছু দেখে ডিবি-এসবি যারা ছিলো, তাদের প্রতিনিধির কাছে আসামিদের বুঝিয়ে দিয়েছি। আমাদের ভিডিও ফুটেজে এসব আছে। এখান থেকে টুপি ছাড়াই তাদেরকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।”

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “জেলখানা থেকে টুপি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।”

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকালে আদালতে আনার সময় কারো মাথায় এমন টুপি ছিলো না। আদালত থেকে বের হওয়ার সময় রাকিবুলের মাথায় এই টুপি দেখা যায়। কারাগার থেকে কড়া নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে আনা এসব জঙ্গিরা আইএসের প্রতীক সম্বলিত টুপি কোথায় পেলো, তা নিয়ে উপস্থিত সবার মধ্যে বিস্ময় ও প্রশ্ন তৈরি হয়।

আসামিরা কারাগার থেকে এ টুপি নিয়ে এসেছেন, না কী আদালতে আনার সময় বা আনার পর কোনোভাবে তাদের কাছে এই টুপি এসেছে- এ নিয়ে আলোচনা শুরু হয়।

কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মুস্তাফা কামাল পাশা বলেন, “অতিরিক্ত কারা পরিদর্শকের নেতৃত্বে তিন-সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী পাঁচদিনের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।”

কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট প্রধান মনিরুল ইসলাম বলেন, “এই টুপিগুলো আইএস তৈরি করে না। আমরা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছি।”

আরও পড়ুন:

৭ জঙ্গির মৃত্যুদণ্ড, ১ জন খালাস

রায় দ্রুত কার্যকরের আর্জি নিহতের পরিবারের

গুলশান হামলার রায়: কড়া নিরাপত্তায় ৮ আসামি আদালতে

হোলি আর্টিজান হামলা মামলার রায় ১২টায়

অন্ধকারে আলোর দিশারী

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago