হোলি আর্টিজানে হামলাকারীরা সহানুভূতি পেতে পারে না: বিচারক

বাংলাদেশে তথাকথিত জিহাদ কায়েমের জন্য ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নব্য জেএমবির সদস্যরা গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে এই আসামিরা কোনো ধরনের অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না।
ছবি: আনিসুর রহমান

বাংলাদেশে তথাকথিত জিহাদ কায়েমের জন্য ও আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য নব্য জেএমবির সদস্যরা গুলশানে হোলি আর্টিজান বেকারিতে নারকীয় হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছে। সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে এই আসামিরা কোনো ধরনের অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারে না। দেশের ইতিহাসে নৃশংসতম জঙ্গি হামলার মামলায় সাজা ঘোষণা করে আদালত রায়ে এই কথা বলেছেন।

ঢাকার সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক মজিবুর রহমান বুধবার এ মামলার রায় ঘোষণা করেন। রায়ে সাত জনকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড ও এক আসামিকে অভিযোগ থেকে খালাস দেওয়া হয়।

রায়ে বিচারক বলেন, এই হামলার মধ্য দিয়ে জঙ্গিবাদের উন্মত্ততা, নিষ্ঠুরতা ও নৃশংসতার জঘন্য বহিঃপ্রকাশ ঘটেছে। জঙ্গিরা শিশুদের সামনে এই হত্যাকাণ্ড চালায়। মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য নিথর দেহগুলোকে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপায়। কলঙ্কজনক এই হামলার মাধ্যমে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের চরিত্র হরণের চেষ্টা করা হয়েছে।

এসব পর্যবেক্ষণ থেকে আদালত বলেছেন, সেজন্য সাজা প্রদানের ক্ষেত্রে আসামিরা কোনো ধরনের অনুকম্পা বা সহানুভূতি পেতে পারেন না।

রায়ে আরও বলা হয়, তামিম চৌধুরীর পরিকল্পনা ও সমন্বয়েই হোলি আর্টিজানে হামলা হয়। তামিমই অন্যান্য জঙ্গিদের জানায়, নব্য জেএমবি আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আইএস দ্বারা অনুপ্রাণিত। আইএসের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্যই গুলশানে কূটনৈতিক এলাকায় হামলা করা প্রয়োজন। কাজেই এটা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে যে তামিম চৌধুরীর নেতৃত্বে হোলি আর্টিজানে হামলা সংঘটিত হয়। বাংলাদেশ তথাকথিত জিহাদ কায়েমের লক্ষ্যে… নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে গ্রেনেড, আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো চাপাতি দিয়ে ১৭ জন বিদেশি, চার জন বাংলাদেশি ও দুই জন পুলিশ অফিসারকে হত্যা করে অনেককে গুরুতর আহত ও জিম্মি করা হয়।

Comments

The Daily Star  | English

Tawfiq-e-Elahi arrested in Gulshan

Former prime minister Sheikh Hasina's Energy Adviser Tawfiq-e-Elahi Chowdhury was arrested from Dhaka's Gulshan tonight.

4h ago