রানা প্লাজার স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষার দাবিতে সমাবেশ

Ranaplaza.jpg
২৯ নভেম্বর ২০১৯, রানা প্লাজার সামনে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ রক্ষার দাবিতে সমাবেশ করেন নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন। ছবি: স্টার

রানা প্লাজা ধ্বসে ১১শ’র বেশি পোশাক শ্রমিকের মৃত্যু হয়েছে। সেই মৃত শ্রমিকদের স্মরণে রানা প্লাজার সামনে একটি স্মৃতিস্তম্ভ তৈরি করেছিলেন নিহত শ্রমিকের স্বজন ও আহত শ্রমিক ও কয়েকটি শ্রমিক সংগঠন।

সম্প্রতি সড়ক ও জনপথ বিভাগের উচ্ছেদ অভিযানে স্মৃতিস্তম্ভটি ভেঙ্গে ফেলা হবে বলে অভিযোগ উঠেছে। স্মৃতিস্তম্ভটি রক্ষা ও সংরক্ষণের দাবিতে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ (২৯ নভেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে সাভার বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে পাশে ধসে পড়া রানা প্লাজার সামনে সমাবেশটির আয়োজন করেন নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।

সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্টস এন্ড শিল্প শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সুজন বলেন, “রাস্তার পাশে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালাচ্ছে সরকার। এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযানকে আমরা স্বাগত জানাই। কিন্তু আমরা শুনতে পেলাম- রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভ ভেঙ্গে ফেলা হবে। সরকারে এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”

শ্রমিকদের চাঁদায় নির্মিত এই স্মৃতিস্তম্ভ কোনোভাবেই ধ্বংস করতে দেওয়া হবে না বলেও জানান রফিকুল ইসলাম সুজন।

সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির প্রধান সমন্বয়ক তাসলিমা আক্তার বলেন, “আমারা শুনতে পেয়েছি- রানা প্লাজায় নিহত শ্রমিকদের স্মরণে যে অস্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণ করা হয়েছিলো, সেটিকে এখান থেকে উচ্ছেদ করা ও ধ্বংস করার একটা পায়তারা চলছে। এটি কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না। এই স্মৃতিস্তম্ভ যাতে রক্ষা করা হয়, সেই দাবি জানাচ্ছি।”

তিনি আরও বলেন, “এই স্মৃতিস্তম্ভ অস্থায়ীভাবে নির্মিত হলেও, আমরা দীর্ঘদিন ধরে একটা স্থায়ী স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছিলাম। আমাদের সেই দাবি মেনে না নিয়ে এখন এই স্মৃতিস্তম্ভটাই ভেঙ্গে ফেলার চক্রান্ত করা হচ্ছে।”

এসময় রানা প্লাজা অঞ্চলকে শ্রমিকদের স্মৃতি অঞ্চল হিসেবে ঘোষণারও দাবি জানান তাসলিমা আক্তার। 

সমাবেশে বাংলাদেশ গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি, বাংলাদেশ পোশাক শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশন, স্বাধীন বাংলা গার্মেন্টস শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশন,  বাংলাদেশ জাতীয় গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন, গণমুক্তির গানের দলসহ কয়েকটি সংগঠনের নেতাকর্মী ও পোশাক শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল সাভারের রানা প্লাজা ধসে প্রাণ হারান ১ হাজার ১৩৮ শ্রমিক, আহত হন প্রায় ২ হাজার ৫০০ শ্রমিক। এরপর থেকে প্রতিবছর ২৪ এপ্রিল নিহতদের স্মরণে ধসে পরা রানা প্লাজার সামনে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভটিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান নিহত শ্রমিকদের স্বজন, আহত শ্রমিক ও কয়েকটি শ্রমিক সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Finance adviser sees no impact on tax collection from NBR dissolution

His remarks came a day after the interim government issued an ordinance abolishing the NBR and creating two separate divisions under the finance ministry

1h ago