কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখছেন দেশাম, মৃত্যুকূপে পড়েও খুশি লো

ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। ‘এফ’ গ্রুপে পড়েছে তিন শিরোপাপ্রত্যাশী দল পর্তুগাল, জার্মানি ও ফ্রান্স। তাই একে মৃত্যুকূপ অর্থাৎ ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলতে আপত্তি নেই ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশাম ও জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর। মৃত্যুকূপে পড়ায় দেশাম কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখলেও লো অবশ্য বেশ খুশিই হয়েছেন!
euro 2020
(বাঁ থেকে) ফার্নান্দো সান্তোস, দিদিয়ের দেশাম, ও জোয়াকিম লো। ছবি: টুইটার

ইউরো ২০২০ চ্যাম্পিয়নশিপের ড্র অনুষ্ঠিত হয়ে গেছে। ‘এফ’ গ্রুপে পড়েছে তিন শিরোপাপ্রত্যাশী দল পর্তুগাল, জার্মানি ও ফ্রান্স। তাই একে মৃত্যুকূপ অর্থাৎ ‘গ্রুপ অব ডেথ’ বলতে আপত্তি নেই ফরাসি কোচ দিদিয়ের দেশাম ও জার্মান কোচ জোয়াকিম লোর। মৃত্যুকূপে পড়ায় দেশাম কঠিন চ্যালেঞ্জ দেখলেও লো অবশ্য বেশ খুশিই হয়েছেন!

রোমানিয়ার রাজধানী বুখারেস্টে শনিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে প্রতিযোগিতাটির ড্র অনুষ্ঠিত হয়। ‘এফ’ গ্রুপের আরেক দল এখনও নির্ধারিত হয়নি। তিন পরাশক্তির সঙ্গী হবে প্লে-অফের ‘এ’ অথবা ‘ডি’ পথ পেরিয়ে আসা একটি দল। অর্থাৎ পর্তুগাল, জার্মানি ও ফ্রান্সের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে হবে আইসল্যান্ড, বুলগেরিয়া, হাঙ্গেরি, জর্জিয়া, বেলারুশ, নর্থ মেসিডোনিয়া ও কসোভোর মধ্য থেকে উঠে আসা যে কাউকে।

পর্তুগাল ইউরোর বর্তমান চ্যাম্পিয়ন। ২০১৬ সালের আসরে শিরোপা জিতেছিল তারা। এর আগে-পরের দুটি বিশ্বকাপের শিরোপা জিতেছিল যথাক্রমে জার্মানি (২০১৪ সাল) ও ফ্রান্স (২০১৮ সাল)। ‘এফ’ গ্রুপের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে হাঙ্গেরির বুদাপেস্ট ও জার্মানির মিউনিখে।

ফ্রান্সের কোচ দেশাম গ্রুপ পর্বের কঠিন চ্যালেঞ্জ নিতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন, ‘এটা একটা কঠিন গ্রুপ। আমি মনে করি, জোয়াকিম লো ও পর্তুগালের কোচও (ফার্নান্দো সান্তোস) একই কথা ভাবছে। এটা সবচেয়ে কঠিন গ্রুপ। আর আমাদের তা মেনে নিতে হবে।’

এই গ্রুপের উদ্বোধনী ম্যাচে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় স্বাগতিক জার্মানির মুখোমুখি হবে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। ম্যাচটি মাঠে গড়াবে আগামী বছরের ১৬ জুন। পরের দুটি ম্যাচ তারা খেলবে বুদাপেস্টে।

দেশাম যোগ করেছেন, ‘আমরা জানি না যে আমাদের তৃতীয় প্রতিপক্ষ কারা। কিন্তু অন্য দুই দলের (জার্মানি-পর্তুগাল) সক্ষমতা সম্পর্কে আমাদের জানা আছে। তাই আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং প্রথম ম্যাচের জন্য তৈরি থাকতে হবে।’

কঠিন চ্যালেঞ্জ- দেশামের এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত জার্মানির কোচ লো। তবে মৃত্যুকূপে পড়েও বিস্ময়করভাবে আনন্দিত তিনি, ‘আমি প্রথমেই বলতে চাই যে আমি খুশি। ফ্রান্স ও পর্তুগালের বিপক্ষে আমাদের ম্যাচ দুটি আসরের সবচেয়ে হাইভোল্টেজ ম্যাচগুলোর মধ্যে অন্যতম। কারণ আমরা বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ও বর্তমান ইউরো চ্যাম্পিয়নদের মোকাবিলা করব।’

মাঠে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতার পাশাপাশি খেলা চলাকালীন মাঠের বাইরে উৎসবের আবহ থাকবে বলেও মনে করছেন লো, ‘আমি মনে করি, এই ম্যাচগুলো হবে ফুটবল উৎসবের মতো। আর আমরা নিজেদের মাটিতেও খেলব। সেসবের অপেক্ষায় আছি।’

তবে ২৪ দলের অংশগ্রহণে ইউরো অনুষ্ঠিত হতে যাওয়ায় গ্রুপের তৃতীয় দলেরও সুযোগ থাকছে দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার। অর্থাৎ পর্তুগাল, ফ্রান্স ও জার্মানি বেশ নির্ভারই থাকতে পারে!

Comments