চালকদের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত: আদালত

সড়কে বাসচালক ও সহকারীদের খামখেয়ালি-উদাসীনতার কারণে ছাত্র-ছাত্রী, যুবক ও বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রাণ হারাচ্ছেন। এক্ষেত্রে চালকদের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন আদালত।
jabal-e-noor.jpg
১ ডিসেম্বর ২০১৯, জাবালে নূর পরিবহনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত দুই বাসচালক মাসুম বিল্লাহ ও জোবাইর হোসেন সুমনকে প্রিজনভ্যানে তোলার জন্য নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ছবি: প্রবীর দাশ/স্টার

সড়কে বাসচালক ও সহকারীদের খামখেয়ালি-উদাসীনতার কারণে ছাত্র-ছাত্রী, যুবক ও বয়স্ক ব্যক্তিরা প্রাণ হারাচ্ছেন। এক্ষেত্রে চালকদের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলে জানিয়েছেন আদালত।

রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে বাসচাপায় শহীদ রমিজ উদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ঘটনায় করা মামলার আজ (১ ডিসেম্বর) রায় দিয়েছেন আদালত। রায়ে জাবালে নূর পরিবহনের দুই চালক মাসুম বিল্লাহ ও জোবাইর হোসেন সুমন এবং পলাতক সহকারী কাজী আসাদকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং বাস মালিক জাহাঙ্গীর ও সহকারী ইনায়েতকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েসের আদালত কিছু পর্যবেক্ষণও দিয়েছেন।

পর্যবেক্ষণে আদালত বলেছেন, “পরিবহন সেক্টরে কর্মরত চালক ও সহকারীদের খামখেয়ালিপনায় উদীয়মান ছাত্র-ছাত্রী, এমনকি যুবক ও বয়স্ক ব্যক্তিরা, তাদের উদাসীনতার ফলে বাসের চাকায় পিষ্ট হওয়া থেকে রেহাই পায় না।”

আদালত বলেন, “বর্তমান মামলায় কলেজের দুই শিক্ষার্থী নিহত হওয়ার ফলে এ দেশের সাধারণ মানুষের বিবেককে নাড়া দেয়। মিম এবং রাজীবের ঘনিষ্ঠ আত্মীয়-স্বজনসহ সাধারণ মানুষ ও ছাত্র-ছাত্রী রাস্তায় নেমে গাড়ির চালক ও সহকারীদের খামখেয়ালিতে উক্ত প্রতিষ্ঠানের দুই ছাত্র-ছাত্রী নিহত হওয়ায়, তাদের বিচার চাইতে কুণ্ঠাবোধ করেননি।”

আদালত আরও বলেন, “পরিবহন সেক্টরে অধিক ভাড়া উপার্জনের জন্য মানুষের জীবনের প্রতি সম্মান প্রদর্শন না করে, ভারী গাড়ি চালানোর লাইসেন্স বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদন না করা সত্ত্বেও, ভারী গাড়ি চালিয়ে যত্রতত্র মানুষের ওপর তুলে দিয়ে হত্যা করে চলেছে।”

সড়কে চালকদের এ ধরনের বেপরোয়া প্রতিযোগিতা এখনই বন্ধ হওয়া উচিত বলেও মন্তব্য করেছেন আদালত।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago