অনলাইন সংবাদ পোর্টালের নিবন্ধন আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
Hasan-Mahmud-1.jpg
২ ডিসেম্বর ২০১৯, সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। ছবি: সংগৃহীত

অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলোর নিবন্ধন আগামী সপ্তাহ থেকে শুরু হবে বলে জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।

আজ (২ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ তথ্য জানান।

মন্ত্রী বলেন, “দেশে যে অনলাইন সংবাদ পোর্টালগুলো আছে, সেগুলোকে নিবন্ধনের আওতায় আনতে আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। এ পর্যন্ত সব মিলে ৩ হাজার ৫৯৭টি দরখাস্ত জমা পড়েছে। সেগুলো তদন্ত করার জন্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগসহ আলোচনা করে আমরা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ জানিয়েছিলাম, যত দ্রুত সম্ভব অনলাইনগুলোর তদন্ত শেষ করে তথ্য মন্ত্রণালয়কে জানানোর জন্য, যাতে আমরা নিবন্ধনের কাজটি শুরু করতে পারি।”

তিনি বলেন, “আমাদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা যে কয়েকশ’ অনলাইনের তদন্ত শেষ করেছে, তার প্রতিবেদন আজ বা কালকের মধ্যে আমাদের কাছে পাঠাবে। আমরা আগামী সপ্তাহ থেকে অনলাইনগুলোর নিবন্ধন দেওয়া শুরু করবো। এ প্রক্রিয়া শেষ করতে সময় লাগবে, কারণ সাড়ে তিন হাজারেরও বেশি অনলাইনের তদন্ত শেষ করা সহজ কাজ নয় এবং কয়েকটি সংস্থা তদন্ত করছে। যে কয়টি আমরা পাবো, সেগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে নিবন্ধন দেওয়া শুরু করবো।”

“ভবিষ্যতেও যেনো অনলাইন সংবাদ পোর্টাল কেউ করতে পারে, সেজন্য আমরা পরবর্তীতে আবার দরখাস্ত আহ্বান করবো, কারণ এখানে যে অনলাইনগুলো আছে, সেগুলোতেই তো এ মাধ্যম শেষ হয়ে যেতে পারে না’ উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “পত্রিকা যেমন যে কেউ যে কোনো সময় বের করতে পারে, ভবিষ্যতে তেমনি অনলাইনও বের করতে পারে। কিন্তু ভবিষ্যতে অনলাইন পোর্টাল চালু করতে হলে একটি প্রক্রিয়ায় অনুমতির মাধ্যমের করতে হবে। পত্রিকা বের করতে চাইলে যেমন নামের ছাড়পত্র নিতে হয়, অনলাইনের ক্ষেত্রেও একটি প্রক্রিয়া অবলম্বন করে বের করতে হবে। আইপি টিভি, আইপি রেডিও’র জন্যও আমরা দরখাস্ত আহ্বান করেছিলাম। এ ব্যাপারে এখনও সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে সবাইকেই রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।”

টেলিভিশনে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল প্রচারে পূর্বানুমতির জন্য প্রিভিউ কমিটি

এসময় টেলিভিশনে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল প্রচারকে নিয়মনীতির আওতায় আনা প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, “বিভিন্ন টেলিভিশনে যে ডাবিং করা বিদেশি সিরিয়াল প্রচার করা হয়, সেগুলোর জন্য অনুমতি নেওয়ার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে এবং অনুমতির জন্য দরখাস্ত পড়েছে অনেকগুলো। এগুলো একটা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে যাওয়া প্রয়োজন। দুই-তিন ঘণ্টার একটি ছবি যেমন মুক্তি পেতে হলে সেন্সর বোর্ড হয়ে আসতে হয়, তেমনি এসব সিরিয়াল, যেগুলোর কোনোটা ৫০, কোনোটা ৩০ পর্ব, আবার প্রতিটি পর্ব হচ্ছে এক বা আধঘণ্টার পর্ব, অর্থাৎ একটি ছবি হয় দুই-তিন ঘণ্টা আর এগুলো একেকটা চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ ঘণ্টা, সুতরাং এগুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়া অনুমোদন দেওয়া সমীচীন নয়।”

মন্ত্রী জানান, সে লক্ষ্যে আমরা একটি বাছাই কমিটি গঠন করেছি এবং ইতিমধ্যে গত ২৭ নভেম্বর প্রজ্ঞাপন জারি হয়েছে। তথ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সম্প্রচার) এর নেতৃত্বে এ কমিটিতে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ, বিশিষ্ট নাট্যজন সারা যাকের, এটকো, ডিরেক্টরস গিল্ড, অভিনয় শিল্পী সংঘের একজন করে প্রতিনিধি, বিটিভি ও জাতীয় গণমাধ্যম ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ও তথ্য মন্ত্রণালয়ের টিভি-২ শাখার উপসচিব রয়েছেন।

“এখন থেকে কোনো টেলিভিশনে বিদেশি কোনো সিরিয়াল যদি প্রচার করতে হয়, তাহলে এই কমিটির কাছে দরখাস্ত করার পর এই কমিটি দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে, আমাদের নতুন প্রজন্মের মনন তৈরিতে বা আমাদের সমাজে এই সিরিয়াল কোনো বিরূপ প্রভাব ফেলছে কী না, বিষয়গুলো পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে অনুমোদন দেবে” বলেন তথ্যমন্ত্রী।

মোবাইল কোম্পানিগুলোর ভিডিও কনটেন্ট আপলোড আসবে শৃঙ্খলায় 

হাছান মাহমুদ বলেন, “মোবাইল কোম্পানি নানা ধরণের ভিডিও কনটেন্ট আপলোড করে ইউটিউব বা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছাড়ছে আবার সেখানে বিজ্ঞাপন দিচ্ছে, সেখানেও তারা ব্যবসা করছে, এটির লাইসেন্স তাদেরকে দেওয়া হয়নি। তাদেরকে মোবাইল নেটওয়ার্ক পরিচালনা করার লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে।”

তিনি বলেন, “এটি বন্ধ করার জন্যে ইতোমধ্যে আমরা টেলিযোগাযোগ বিভাগকে চিঠি দিয়েছে, দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় বিষয়গুলো আলোচনা করেছি। এ ধরনের চলমান বিষয়ে বিটিআরসি সিদ্ধান্ত নেবে। এটিকে একটি শৃঙ্খলার মধ্যে আনতে আমরা বদ্ধপরিকর।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

7h ago