বুয়েটে র‍্যাগিং ও রাজনীতিতে জড়িত হলে বহিষ্কার, মামলা

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র‍্যাগিংয়ের কারণে কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। এছাড়া অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।
buet-1_1.jpg
বুয়েট ক্যাম্পাস। ছবি: পলাশ খান/স্টার

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বুয়েট) র‍্যাগিংয়ের কারণে কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যুর অভিযোগ প্রমাণিত হলে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে। এছাড়া অভিযুক্তের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন কর্মকর্তা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করবেন।

গতকাল (২ ডিসেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রকল্যাণ পরিদপ্তরের পরিচালক মিজানুর রহমানের সাক্ষরে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভবিষ্যতে র‌্যাগিংয়ের সঙ্গে জড়িতদের এবং সাংগঠনিক রাজনীতির বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িতদের অভিযোগসমূহ মূল্যায়ন ও শাস্তি নির্ধারণ বিষয়ে গঠিত কমিটির রিপোর্টের আলোকে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়া সাপেক্ষে অভিযুক্তদের বিভিন্ন মেয়াদে শাস্তি নির্ধারণ করা হয়েছে।

এতে বলা হয়, বুয়েটে কেউ সাংগঠনিক ছাত্র রাজনীতি করলে সর্বোচ্চ সাজা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার।

এছাড়াও, প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে রাজনীতিতে জড়িত থাকলে, রাজনৈতিক পদে থাকলে, রাজনীতি করতে কাউকে উদ্বুদ্ধ বা বাধ্য করলে অপরাধ সাপেক্ষে শাস্তি সতর্কতা, জরিমানা, বিশ্ববিদ্যালয় থেকে যে কোনো মেয়াদে বহিষ্কার।

বিজ্ঞপ্তিতে র‍্যাগিংয়ের শাস্তি কয়েক ধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে। কোনো শিক্ষার্থীর মৃত্যুর শাস্তি বুয়েট থেকে স্থায়ী বহিষ্কার ও থানায় মামলা দায়ের। কোনো শিক্ষার্থী গুরুতর শারীরিক ক্ষতি বা মানসিক ভারসাম্যহীনতার শিকার হলেও অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ী বহিষ্কার করা হবে।

মৌখিক বা শারীরিক লাঞ্ছনা এবং সাময়িক মানসিক ক্ষতিসহ এ-সংক্রান্ত অপরাধের শাস্তি হচ্ছে সতর্কতা, জরিমানা, হল থেকে স্থায়ী বহিষ্কার বা একাডেমিক কার্যক্রম থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য বিরত রাখা।

এ ধরনের অপরাধীকে শিক্ষাজীবনে ফিরতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের ঠিক করে দেওয়া মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাউন্সেলিং করতে হবে।

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago