আসল চুরিটা হয়েছে গত বছর: কিয়েলিনি
দুদিন আগেই রেকর্ড ষষ্ঠবারের মতো ব্যালন ডি'অর জিতে নিয়েছেন লিওনেল মেসি। তাতে দীর্ঘদিনের প্রতিদ্বন্দ্বী ক্রিস্তিয়ানো রোনালদোকে ফের পেছনে ফেলেছেন এ আর্জেন্টাইন। তবে জিয়র্জিও কিয়েলিনি মনে করছেন গত মৌসুমেই এ রেকর্ডটা গড়তে পারতেন তার ক্লাব সতীর্থ রোনালদো। রিয়াল মাদ্রিদ তার পুরস্কারটি চুরি করেছেন বলে তোপ দাগান এ ইতালিয়ান ডিফেন্ডার।
চলতি বছর মেসির ব্যালন ডি'অর জয়ে অনেকেই নানা বিতর্ক তুলেছেন। লিভারপুলের ডাচ তারকা ভার্জিল ভ্যান ডাইককে অনেকে এ পুরস্কারের আসল যোগ্য মনে করছেন তারা। তবে দুই তারকার মধ্যে প্রতিদ্বন্দ্বিতাটা হয়েছে তুমুল। মাত্র ৭ পয়েন্টের ব্যবধানে জিতেছেন মেসি। কেউ কেউ আবার রোনালদোকেও এগিয়ে রেখেছেন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ভালো খেলায়।
তবে চলতি বছরে মেসির ব্যালন ডি'অর পাওয়াকে স্বাভাবিকভাবেই নিয়েছেন কিয়েলিনি। তবে খেপেছেন গত বছর পুরস্কারটা রোনালদো না পাওয়ায়, 'মেসি এ বছর ব্যালন ডি'অর জিতেছে সেটা ঠিক আছে। কিন্তু আসল চুরিটা হয়েছিল গত বছর। রিয়াল মাদ্রিদ নিশ্চিত করেছে যে করেই হোক ক্রিস্তিয়ানো যেন এ বছর ব্যালন ডি'অর জিততে না পারে। এটা সত্যিই অদ্ভুত ব্যাপার।'
'আসলে রোনালদোর কাছ থেকে ব্যালন ডি'অরটি চুরি করে রাখা হয়েছে। সবার প্রতি সম্মান রেখেই বলছি, মদ্রিচ তার ক্যারিয়ারের সেরা সময়েও ব্যালন ডি'অর প্রাপ্য ছিল না। এটা রিয়াল মাদ্রিদের নির্দেশনা, যে করেই হোক ক্রিস্তিয়ানোকে জিততে না দেওয়া। সে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছিল, যদি বিশ্বকাপ দিয়ে যাচাই করতে হয় তাহলে সেটা গ্রিজমান, পগবা কিংবা এমবাপেকে দেওয়া উচিৎ ছিল। মদ্রিচকে দেওয়ার কোন মানেই হয় না।' - যোগ করে আরও বলেন কিয়েলিনি।
২০১৮ সালের গ্রীষ্মে ১০০ মিলিয়ন পাউন্ডের বিনিময়ে রিয়াল ছেড়ে জুভেন্টাসের যোগ দেন রোনালদো। কিয়েলিনির ধারণা এ কারণেই বিষয়টি স্বাভাবিকভাবে নেননি রিয়াল কর্তৃপক্ষ। দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে রোনালদোর ব্যালন ডি'অর পাওয়া ঠেকিয়েছেন তারা।
২০১৭-১৮ মৌসুমটা অবশ্য দারুণ কাটিয়েছিলেন রোনালদো। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জিতেছেন। সর্বোচ্চ গোলদাতাও হয়েছিলেন। ১২ ম্যাচে ১৫ গোলের সঙ্গে ৩টি অ্যাসিস্ট করেছিলেন তিনি। তবে রিয়ালকে অক্সিজেন জুগিয়েছিলেন মদ্রিচই। চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ে রেখেছেন মুখ্য ভূমিকা। তবে রোনালদোকে ছাপিয়ে গেছেন বিশ্বকাপের পারফর্ম করে সাদামাটা ক্রোয়েশিয়াকে প্রায় একাই ফাইনালে টেনে নিয়ে গিয়েছিলেন মদ্রিচ। তখন থেকেই তার বন্দনায় মাতে বিশ্বফুটবল।
Comments