চিন্তা-ভাবনার প্যাটার্ন বদলে এখন অন্যরকম তাসকিন
গত বিপিএলে দারুণ নৈপুণ্য দেখিয়ে জাতীয় দলে ফিরে এসেছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু দলে ফিরেই চোটের কারণে যেতে পারেননি নিউজিল্যান্ড সফরে। আয়ারল্যান্ড সফরের দলে জায়গা হলেও ম্যাচ পাননি, জায়গা হয়নি বিশ্বকাপেও। বিশ্বকাপের পর দল শ্রীলঙ্কা গেলে সেখানেও ছিলেন তাসকিন, কিন্তু কোন ম্যাচেই নামা হয়নি তার। চোট, অফ ফর্ম, দলে জায়গা না হওয়া মিলিয়ে তাসকিনের দুঃসময় যেন পারই হচ্ছিল না। এবার জাতীয় লিগে নিজেকে চিনিয়েছেন ভিন্নভাবে। বিপিএলের আগে জানালেন আগের চিন্তা ভাবনার জগতেও এসেছে বদল। আরও পরিণত হয়েছেন, বুঝতে পারছেন বাস্তবতা। তাতে বাড়ছে ভালো করার তাগিদও।
এবার জাতীয় লিগে শেষ তিন ম্যাচে নিয়েছেন ১৭ উইকেট। বল করেছেন ১০১ ওভার। সবচেয়ে বড় কথা এই সময়ে বলের তার গতিও নাকি ফিরছে আগের মত। বিপিএলে তাসকিন এবার খেলছেন রংপুর রেঞ্জার্সের হয়ে। নিজের বোলিং নিয়ে খাটছেন তো বটেই। বারবার চোটে পড়া শরীরকে সামলাতেও মন দিচ্ছেন আলাদাভাবে। বৃহস্পতিবার অনুশীলনের পর জানালেন আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে ইনজুরি ম্যানেজমেন্টটা এবার ভালো হচ্ছে তার, ‘ইনজুরি ম্যানেজমেন্ট আগের থেকে ভালো। আমি এখন ভালো বুঝতে পারি শরীরের ধরন বা কীভাবে কি করা যায়। তাও ইনজুরি আসলে জীবনেরই অংশ, পেসারদেরই বেশি হয়। তো চাইবো যে নিজের শৃঙ্খলা বা প্রস্তুতিটা আরও ভালো করার জন্য যাতে সুস্থ থাকি।’
বিশ্বকাপে জায়গা না পেয়ে তাসকিনের মনে হচ্ছিল জীবনটাই বুঝি শেষ। ভেঙে পড়েছিলেন পুরোটা। আবেগাক্রান্ত হয়ে জমেছিল অভিমান। আয়ারল্যান্ড সফরে একটা সুযোগ না পাওয়া পোড়াচ্ছিল তাকে। কিন্তু এখন বাস্তবতার জমিনে দাঁড়িয়ে সেই আবেগ সরিয়ে রাখছেন দূরে , ‘আসলে আমার এখন লক্ষ্যই হল যেখানেই সুযোগ হোক ভালো খেলা। চেষ্টা করবো সুস্থ থাকার, চেষ্টা করছিও যেভাবে ফিট থাকা যায়। লক্ষ্যই এখন একটা সামনের বিপিএল ভালো খেলা। নিজের সর্বোচ্চটা দিইয়ে চেষ্টা করবো ভালো খেলার। ভালো পারফরম্যান্স করে জাতীয় দলে খেলার সুযোগ পাই এটাই আমার লক্ষ্য।’
ন্যাচারাল স্যুয়িং বোলার নন, তাসকিনের বোলিংয়ের মূল অস্ত্রই হচ্ছে গতি আর বৈচিত্র্য। আগের বিপিএলে যেমন নাকল বলে পেয়েছিলেন ৬ উইকেট। নাকল বল, স্লোয়ার বাউন্সারের বৈচিত্র্য দিয়ে মাত করতেও নিচ্ছেন সেরা প্রস্তুতি, ‘আসলে গতিতো আছেই সেই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সব বলই জোরে করা যাবেনা বৈচিত্র্য গুরুত্বপূর্ণ। চেষ্টা করবো পরিস্থিতি বুঝে দলের চাহিদা পূরণ করার। এটাই লক্ষ্য থাকবে।’
Comments