বিপিএলে প্রতি দলের সঙ্গেই একজন করে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতি দমন নিয়ে আরও সতর্ক পথে হাঁটতে যাচ্ছে বিসিবি। এবার বিপিএলে তাই প্রতি দলের সঙ্গেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে একজন করে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে থাকছে বাড়তি নজরদারি।

জুয়াড়ির প্রস্তাব গোপন করে দেশের সেরা ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ার পর দুর্নীতি দমন নিয়ে আরও সতর্ক পথে হাঁটতে যাচ্ছে বিসিবি। এবার বিপিএলে তাই প্রতি দলের সঙ্গেই নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে একজন করে দুর্নীতি দমন কর্মকর্তা। আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে থাকছে বাড়তি নজরদারি।

গত বিপিএলে চিটাগং ভাইকিংসের লজিস্টিক ম্যানেজার শাকিল আবেদিন চট্টগ্রামের চার ক্রিকেটারকে দল পাইয়ে দেওয়ার কথা বলে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সেটা অবশ্য স্পট ফিক্সিং জাতীয় কিছু নয়। তবু বিষয়টি নজরে এনে তাকে নিষিদ্ধ করতে যাচ্ছে বিসিবি। এ ধরণের যেকোনো বিষয়সহ স্পট ফিক্সিংয়ের অন্ধকার ছোবল থেকে ক্রিকেটকে মুক্ত রাখতে বদ্ধ পরিকর বিসিবি।

বিপিএল শুরুর আগেই এই খবর আলোচনায় আসার পর বোর্ড প্রধান নাজমুল হাসান জানান, সাকিব আল হাসানের ঘটনার পর এবার আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে সতর্কতা বাড়িয়ে ফেলতে যাচ্ছেন তারা,  ‘এন্টি করাপশন ইউনিট আছে, তারা দেখবে (কি হচ্ছে না হচ্ছে)। আমরা সব দলের সঙ্গেই একজন করে (কর্মকর্তা) দিয়ে দিচ্ছি। আমরা খুবই সিরিয়াস।’

এবার দুর্নীতি দমন ইউনিটে বাড়তি জোর দেওয়া হচ্ছে, বাড়ানো হয়েছে বাজেট,  ‘আগে থেকেই ছিল (গুরুত্ব)। এখন আরও বাড়ছে। ওরাই করছে (এন্টি করাপশন ইউনিট)। আমাদের থেকে কিছু খরচ বাড়ছে যেমন প্রতি দলের সঙ্গে দিলে (কর্মকর্তা) তার একটা বেতনের ব্যাপার আছে।’

এসব কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়ার পুরো প্রক্রিয়া বিসিবির দুর্নীতি দমন ইউনিটই স্বাধীনভাবে সম্পন্ন করবে। বোর্ড প্রধান জানান স্পর্শকাতর হওয়ায় এই ব্যাপারে কোনভাবেই নাক গলাবেন না তারা,  ‘সাধারণত আমাদের এখানটায় এসিইউ আছেন। তারা কথাবার্তা বলে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। আমরা জানিও না কে আসবে। এখানে প্রেফারেন্স দেওয়া হয় আগে এরকম অভিজ্ঞতা আছে। বা আর্মিতে আছেন এমন কেউ হতে পারে। এটাতে কে আছেন আমরা জানতেও চাই না। কারণ স্বাধীনভাবে কাজ করতে দেই এই জায়গাটায়।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu Sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

12h ago