রুম্পাকে হত্যা করা হয়েছে: বাবা

রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার বাবা রোকন উদ্দিন বলেছেন, “আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতেই পারে না।”
The Daily Star logo

রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার বাবা রোকন উদ্দিন বলেছেন, “আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতেই পারে না।”

শনিবার দ্য ডেইলি স্টারকে তিনি বলেন, “রুম্পা যদি আত্মহত্যা করতে চাইত তাহলে বাড়িতেই করতে পারত। এত দূরে গিয়ে করবে কেন?”

গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে রুম্পার লাশ উদ্ধার করা হয়। শান্তিবাগে যে বাড়িতে রুম্পা থাকতেন সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। শপিং সেন্টারের পাশাপাশি আরও দুটি বাড়ি রয়েছে সেখানে। এগুলোর যেকোনো একটির উঁচু থেকে মাটিতে আছড়ে পড়ে সে।

ঘটনার আগে রুম্পা তার ব্যাগ ও মোবাইল ফোন বাসায় রেখে গিয়েছিল। মাকে ফোন করে বলেছিল, জরুরি একটা কাজে বাইরে যাচ্ছে। এর পর থেকে বাড়ির আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তার।

রুম্পার বাবা বলেন, কেউ আত্মহত্যা করতে চাইলে তার মধ্যে কিছু লক্ষণ দেখা যায়। বাড়ির কেউ রুম্পার মধ্যে কোনো ধরনের অস্বাভাবিকতা দেখতে পায়নি। সে দুটো টিউশনি করে হাত খরচ চালাত।

মোবাইল ফোন বাড়িতে রেখে যাওয়ার সম্ভাব্য কারণ সম্পর্কে তার বাবা বলেন, দুই মাস আগে রাজধানীর বেইলি রোডে ছিনতাইকারীর কবলে পড়েছিল রুম্পা। তার মোবাইল ফোনটি ছিনতাইকারী নিয়ে যায়। এর পর তাকে এই শর্তেই মোবাইল ফোন কিনে দেওয়া হয় যেন রাতে বাইরে গেলে মুঠোফোন যেন সঙ্গে না নেয়। বুধবার বাড়িতে মুঠোফোন রেখে যাওয়ার এটাই ছিল কারণ।

এই হত্যাকাণ্ডে কয়েকজনকে সন্দেহ করছেন বলেও জানান রুম্পার বাবা। তারা তার মেয়ের পরিচিতদের মধ্যে। চার পাঁচ জনের নাম তিনি তদন্তকারীদের কাছে দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত মেয়ের মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে তিনি পুলিশের কাছ থেকে কোনো তথ্য পাননি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে রমনা থানার ওসি মনিরুল ইসলাম দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা রহস্যের কুল-কিনারা করতে পারিনি। এ ঘটনায় যেহেতু হত্যা মামলা হয়েছে তাই সেই সন্দেহ মাথায় রেখেই তদন্ত করা হচ্ছে। যেখানে লাশ পাওয়া গিয়েছে তার আশপাশের সব ভবনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ নেওয়া হয়েছে। পুলিশের নিয়মিত তদন্তের পাশাপাশি, র‍্যাব, ডিবি, পিবিআই ছায়া তদন্ত করছে। শিগগিরই রহস্য উদঘাটন হবে বলে আশা করি।

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago