ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন দিতেই ২ বছর পার

আসাদুজ্জামান নিখোঁজ হওয়ার ২৩ দিন পর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় পিএফআই প্রপার্টি লিমিটেডের নির্মাণাধীন একটি ভবনে লাশটি পাওয়া যায়।
আসাদুজ্জামান

আসাদুজ্জামান নিখোঁজ হওয়ার ২৩ দিন পর পুলিশ তার লাশ উদ্ধার করে। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই ঢাকার বসুন্ধরা এলাকায় পিএফআই প্রপার্টি লিমিটেডের নির্মাণাধীন একটি ভবনে লাশটি পাওয়া যায়।

আসাদুজ্জামান (৩৩) ওই আবাসন প্রতিষ্ঠানের হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা ছিলেন।

প্রাথমিকভাবে পুলিশের সন্দেহ ছিল এটা আত্মহত্যা এবং সে অনুযায়ী অপমৃত্যুর মামলা দায়ের হয়। তবে আসাদুজ্জামানের পরিবারের সদস্যরা দাবি করে আসছিল সে আত্মহত্যা করতে পারে না।

ঘটনার সময় আসাদুজ্জামানের স্ত্রী গর্ভবতী ছিলেন। নিখোঁজ হওয়ার এক দিন আগেও সে তার মাকে ফোন করে বলেছিল দুদিনের মধ্যেই সে নাটোরে বাড়িতে গিয়ে স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাবে।

আসাদুজ্জামানের লাশ উদ্ধার হওয়ার প্রায় দুই বছর পর এখন পুলিশ জানতে পেরেছে যে, সে আত্মহত্যা করেনি। তদন্তকারীদের বিভ্রান্ত করতেই হত্যার পর লাশ ঝুলিয়ে রাখা হয়েছিল।

আসাদুজ্জামান আত্মহত্যা করেছিল নাকি করেনি—এটুকু জানতে দুই বছর লেগে যাওয়ার কারণ ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন আসতে দেরি হওয়া। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের একজন ডাক্তার প্রতিবেদন দিতে এই সময় নিয়েছেন। প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, শ্বাস রোধ করে আসাদুজ্জামানকে হত্যা করা হয়েছে।

এখন পুলিশ বলছে, হাসপাতাল থেকে প্রতিবেদন পেতে দেরি হওয়ায় মামলাটি তদন্ত কাজ আরও কঠিন হয়ে যাবে। দীর্ঘ সময় পার হয়ে যাওয়া অনেক আলামত এতদিনে হয়ত নষ্ট হয়ে গেছে।

দ্য ডেইলি স্টারের কাছে ময়নাতদন্ত প্রতিবেদনের একটি অনুলিপি রয়েছে।

ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী ঢামেক এর ফরেনসিক বিগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ লাশটির রাসায়নিক পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছিলেন। ২০১৭ সালের ১৯ জুলাই রাসায়নিক পরীক্ষার প্রতিবেদন আসে।

এরপর ২০১৭ সালে ১ আগস্ট ময়না তদন্ত ও রাসায়নিক পরীক্ষার ফলাফল বিবেচনা করে সোহেল মাহমুদ স্বাক্ষরিত প্রতিবেদনটিতে বলা হয়, আসাদুজ্জামানের মৃত্যু হয়েছে শ্বাসরোধ করার ফলে। ঘটনার প্রকৃতি হত্যাকাণ্ডের দিকে নির্দেশ করে।

প্রতিবেদনটি তৈরি হওয়ার দুই বছরেরও বেশি সময় পর এ বছরের ১৫ সেপ্টেম্বর ভাটারা থানায় এসে পৌঁছায়।

আসাদুজ্জামানের চাচী শিউলি বেগম এই হত্যার ঘটনায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে ও বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত আসামির বিরুদ্ধে ১৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা করেন।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক রিয়াদ হোসেন জানান, তারা ইতিমধ্যে অভিযুক্ত তাজুল ইসলাম, মেহেদী হাসান মিরাজ এবং শহিদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।

আসাদুজ্জামানের সঙ্গে একই অফিসে কাজ করতেন তাজুল ও শহিদুল।

 

(সংক্ষেপিত, পুরো প্রতিবেদনটি পড়তে এই Murder, not suicide লিংকে ক্লিক করুন)

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

10h ago