আর্চারিতে দশে দশ বাংলাদেশ
এবার দক্ষিণ এশিয়ান গেমসে আর্চারিতে ছিল মোট দশ ইভেন্টে। দাপট দেখিয়ে দশটিরই ফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। দলগত, মিশ্র আর ব্যক্তিগত ইভেন্ট মিলিয়ে দশ ইভেন্টের সবগুলোতেই সোনা জিতে দেশের পতাকা সবার উপরে তুলে ধরেছেন আর্চাররা।
আর্চারিতে দশম ও শেষ ইভেন্টে প্রত্যাশা অনুযায়ীই সোনা জেতেন অলিম্পিকে সরাসরি সুযোগ পাওয়া বাংলাদেশের একমাত্র ক্রীড়াবিদ রোমান সানা। সোমবার সকালে ব্যক্তিগত রিকার্ভের ফাইনালে রোমান ৭-১ সেটে ভুটানের প্রতিদ্বন্দ্বীকে উড়িয়ে দেন।
রোমানের এই সোনা জয়ের মধ্য দিয়ে এবারের এসএ গেমসে বাংলাদেশের পদক সংখ্যা হলো ১৮। বিদেশের মাটিতে তো বটেই, দেশ –বিদেশ মিলিয়েই কোন গেমসে এটি হতে যাচ্ছে বাংলাদেশের সেরা সাফল্য। আগের দিন ছয় সোনা জিতে সেরা সাফল্যের ইঙ্গিত দিয়েই রেখেছিলেন আর্চাররা। সোমবার সকালে একে একে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনা জিতেন সোমা বিশ্বাস, সোহেল রানা, ইতি খাতুন ও রোমান সানা।
এর আগে ২০১০ সালে ঘরের মাঠে ১৮টি সোনা জিতেছিল বাংলাদেশ। নেপালে কাঠমুন্ডু আর পোখরায় অনুষ্ঠিত এবারের আসরে এরমধ্যেই বাংলাদেশ স্পর্শ করে ফেলেছে নিজেদের আগের রেকর্ড। এই রেকর্ড ছাড়িয়ে যাওয়ার সহজ সুযোগও আছে। পুরুষ ক্রিকেটের ফাইনালে সৌম্য সরকার, নাজমুল শান্তরা জিতলেই বাংলাদেশ গড়বে নতুন রেকর্ড।
তবে নিজেদের রেকর্ড ভাঙলে পদক তালিকায় এখনো পঞ্চম স্থানেই আছে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।
আর্চারিতে আগের দিন দলগত আর মিশ্র ইভেন্টে এসেছিল ছয়টি সোনা। রোববার রিকার্ভ পুরুষ দলগত ইভেন্টে রোমান সানা, মোহাম্মদ তামিমুল ইসলাম ও মোহাম্মদ হাকিম আহমেদ রুবেল জেতেন সোনা । তারা ৫-৩ সেট পয়েন্টে হারান শ্রীলঙ্কাকে। নারীদের দলগত ইভেন্টে ইতি খাতুন, মেহনাজ আক্তার মনিরা ও বিউটি রায় ৬-০ সেট পয়েন্টে পান দ্বিতীয় সোনা। রিকার্ভের নারী-পুরুষ মিশ্র ইভেন্ট থেকে আসে তৃতীয় সোনা।
দলগত কম্পাউন্ড পুরুষ ফাইনালে ভুটানকে ২২৫-২১৪ স্কোরে হারিয়ে দেশকে সেরা সাফল্য এনে দেন অসীম কুমার দাস, সোহেল রানা ও মোহাম্মদ আশিকুজ্জামানদের বাংলাদেশ দল।
একই ইভেন্টে সুস্মিতা বণিক, শ্যামলী রায় ও সোমা বিশ্বাসকে নিয়ে গড়া বাংলাদেশ নারী দল শ্রীলঙ্কাকে ২২৬-২১৫ পয়েন্ট হারিয়ে জেতে সোনা। কম্পাউন্ডের মিশ্র দ্বৈতে জুয়েল রানা-রোকসানা আক্তার জুটি নেপালকে হারিয়ে জেতেন ৬ষ্ঠ সোনা।
আর্চারদের মধ্যে রোমান, ইতি ও সোহেল জেতেন তিনটি করে সোনার পদক।
Comments