সবুজ সংকেত পেলেই তবে দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে সিদ্ধান্ত
সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে যাবে কিনা সে ব্যাপারে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়নি বিসিবি। এই সফর নিয়ে সরকারের সবুজ সংকেতের অপেক্ষায় থাকা বোর্ড জানিয়েছে আবারও নিরাপত্তা খতিয়ে দেখে তবেই পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেবে তারা। এদিকে পাকিস্তানের দেওয়া গোলাপি বলের দিবারাত্রির টেস্ট খেলার প্রস্তাবের ব্যাপারে সবুজ সংকেত এলেই ভাববে বাংলাদেশ।
আসছে মাসে দুই টেস্ট আর তিন টি-টোয়েন্টির সিরিজ খেলতে বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর করার কথা। যদিও নিরাপত্তাজনিত কারণে সেদেশে বেশিরভাগ দলই সফরে যায় না। এর আগেও নিরাপত্তার কারণে নির্ধারিত সফর বাতিল করেছে বাংলাদেশও।
সোমবার সন্ধ্যায় রাজধানীর একটি হোটেলে বিপিএলের দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের জার্সি উন্মোচন অনুষ্ঠানে বিসিবির মুখপত্র জালাল জানান নিজেদের বর্তমান অবস্থান, 'আমরা এখনো কোন সিদ্ধান্ত নেইনি। প্রথমত কথা হচ্ছে পাকিস্তানে সিরিজ হওয়ার কথা আমরা আগে থেকেই জানি। এর আগে জুনিয়র দল গিয়েছে, মেয়েরা খেলে এসেছে। নিরাপত্তার দিক থেকে এই মুহূর্তে আমাদের অভিযোগ নেই।’
ইতিবাচক মনোভাবের ইঙ্গিত দেওয়ার পাশাপাশি কিছুটা অনিশ্চয়তা রেখে দিয়েছেন এই বোর্ড পরিচালক। কারণ বাংলাদেশ দল পাকিস্তানে যাবে কিনা সে সিদ্ধান্ত নেবে মূলত সরকার, বিসিবি সব গুছিয়ে নিয়ে অপেক্ষায় থাকবে সরকারের সবুজ সংকেতের, ‘যেহেতু নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হয়েছে আরও কয়েকমাস আগে, নিশ্চিয়ই একেক সময় একেকরকম থ্রেট লেভেল থাকে। কাজেই আবার নিরাপত্তা খতিয়ে দেখব, সরকার যখন চূড়ান্ত সবুজ সংকেত দিবে তখন আমরা বলতে পারব যাব কি যাব না। এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না।’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড অবশ্য সফর ইতিবাচক ধরেই এগিয়ে নিচ্ছে তাদের কাজ। সিরিজ হবে ধরে নিয়ে করাচি টেস্টকে গোলাপি বলে আয়োজনের প্রস্তাব দিয়ে রেখেছে পিসিবি। তবে বিসিবি জানাচ্ছে আগে সিরিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত তারপর দিবারাত্রির টেস্ট নিয়ে আলাপ, ‘গোলাপি বলে খেলার ব্যাপারে প্রস্তাব পরবর্তীতে আসছে। আগে সিরিজ নিয়ে চিন্তাভাবনা করব। তারপর ওটা নিয়ে আলাপ করা যাবে যে কোন বলে খেলা হবে।’
বিসিবির উপর অবশ্য পিসিবির চাপ বাড়িয়েছে শ্রীলঙ্কা। ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা দলের উপর হামলার পরই পাকিস্তানে ক্রিকেট বন্ধ। সেই শ্রীলঙ্কা সীমিত ওভারের ক্রিকেট তো খেলে এসেছেই, এখন পুরো শক্তির দল নিয়ে টেস্ট খেলতে গেছে পাকিস্তানে। জালাল ইউনুস জানান বিসিবি পাকিস্তান-শ্রীলঙ্কার সিরিজের উপর নজর রাখবে। তবে এই সিরিজ হওয়া মানে যে পাকিস্তানের এক ধাপ এগিয়ে যাওয়া তা আড়াল করেননি তিনি, ‘নিশ্চয়ই প্লাস পয়েন্ট ওদের জন্য (শ্রীলঙ্কার টেস্ট খেলতে যাওয়া)। আমরাও পর্যবেক্ষণ করব। যদি কোন ঝামেলাবিহীন ট্যুর হয় তাহলে তাদের জন্য বাড়তি পাওনা, আমাদের জন্যও।’
তবে যা-ই হোক চলতি মাসের মধ্যেই পাকিস্তান সফরের ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছে যাবে বাংলাদেশ।
Comments