‘আদালত যদি রোহিঙ্গাদের রক্ষা না করে, আর কেউ করবে না’

আন্তর্জাতিক বিচার আদালত। ছবি: টিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া

আদালত যদি রোহিঙ্গাদের রক্ষা না করে তাহলে আর কেউ তা করবে না। মিয়ানমারতো করবেই না। আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে এ কথা বলেছে গাম্বিয়া।

আদালতকে গাম্বিয়া জানায়, যেসব গ্রামে রোহিঙ্গা নেই, সেসব গ্রামে নির্যাতনের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের ওপর অত্যাচার চালাচ্ছে বহু বছর ধরে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেই নির্যাতনের মাত্রা বাড়ানো হয়েছে। জাতিগতভাবে রোহিঙ্গাদের নিধন করার উদ্যোগ নিয়েছে মিয়ানমার সরকার। এসব তথ্য আছে জাতিসংঘের ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং মিশনে।

মিশনের তথ্য প্রমাণ করছে, রোহিঙ্গাদের জোর করে বন্দিশিবিরে নিয়ে আনা হয়েছে। তাদের নিরাপত্তার কথা বলে সেখানে আনা হয়েছিলো। কিন্তু, মূল উদ্দেশ্য ছিলো তাদের নিধন করা। দেশ থেকে বিতাড়িত করা। এই কাজটি রাখাইন রাজ্যে মিয়ানমার সেনাবাহিনী করেছে।

মিয়ানমার রোহিঙ্গাদের মধ্যে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছে। তাদের গতিবিধির ওপরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছিলো।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে যে ২০১২ সাল থেকে রোহিঙ্গা মুসলমানদের অন্যদের থেকে আলাদা করে রাখা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে। তাদের জমিজমা কেড়ে নেওয়া হয়েছে। রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাদ্য সঙ্কট সৃষ্টি করা হয়েছে যাতে তারা দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। তাদেরকে সব ধরনের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত করে রাখা হয়েছে।

মিয়ানমার কোনো স্বাধীন তদন্ত করতে দেয়নি। তাদের তদন্তগুলো ছিলো ‘হোয়াইট ওয়াশ’। তারা মূল ঘটনা থেকে অন্যদের দৃষ্টি সরানোর চেষ্টা করছে। মিয়ানমার মিথ্যাচার করছে বলেও মন্তব্য করেছে গাম্বিয়া।

আরও পড়ুন:

মিয়ানমারের সেনাপ্রধান ও শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিচার করতে হবে: গাম্বিয়া

রোহিঙ্গা শিবির পরিদর্শন করে সীমান্তের ওপারে গণহত্যার প্রমাণ পেয়েছি: গাম্বিয়া

Comments

The Daily Star  | English
charges against Sheikh Hasina at ICT

What are the five charges against Hasina at ICT?

Former home minister Kamal and ex-IGP Mamun have also been accused

1h ago