এ কেমন ফটোসেশন!
বিপিএলের সব দলের অধিনায়কের যৌথ ফটোসেশন। অনুষ্ঠানের নাম ছিল এমনই। কিন্তু অনেক বিলম্বে হওয়া এই আয়োজনে এক দলের অধিনায়ক দলের আরেকজনকে প্রক্সি দাঁড় করিয়ে চলে গেলেন, আরেক অধিনায়কের নেই খোঁজ। বাকিরা সবাই মিলে যে ছবি তুললেন তাদের সামনে ছিল না টুর্নামেন্টের ট্রফিও।
সন্ধ্যা ৫টা থেকে সাড়ে ৫টার মধ্যে মিরপুরের একাডেমি মাঠে অধিনায়ককের ফটোসেশনের সময় দেওয়া হয়েছিল। নির্ধারিত সময়ে সেখানে গিয়ে দেখা যায় হ-য-ব-র-ল অবস্থা। ঢাকা প্লাটুনের অধিনায়ক করা হয়েছে ওয়ানডে অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজাকে। অনুষ্ঠান শুরুর আগেই মুমিনুল হককে দায়িত্ব দিয়ে তিনি মাঠ ছেড়ে চলে যান।
অর্থাৎ টুর্নামেন্টের অধিনায়কদের ফটোসেশনে শুরুতেই নেই এক অধিনায়ক। বাকিদের মধ্যে খুলনা টাইগার্সের মুশফিকুর রহিম, কুমিল্লা ওয়ারিয়র্সের দাসুন শানাকা, সিলেট থাউন্ডার্সের মোসাদ্দেক হোসেন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ শুরু থেকেই অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু তৈরি ছিল না কিছুই। লাল গালিচা ব্যাকড্রপ লাগানো হয় তাদের অপেক্ষায় রেখেই।
কিন্তু এরপরও আবারও অপেক্ষা। আরও দুই অধিনায়কের যে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। বিপিএল সমন্বয়ক সাইফুল আমিন মুঠোফোনে দলগুলোর ম্যানেজারদের ধরার চেষ্টা করলেন। রাজশাহী রয়্যালসের অধিনায়ক আন্দ্রে রাসেল খানিক পরই অবশ্য এসে উপস্থিত। কিন্তু রংপুর রেঞ্জার্সের অধিনায়ক মোহাম্মদ নবি কোথায়!
সাইফুল ফোনের অপরপাশে রংপুরের ম্যানেজার সাইদুল ইসলাম ইফির কাছ থেকে নবির ব্যাপারে নির্দিষ্ট কিছু জানতে না পেরে হতাশাই জানালেন। প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীও তখন মাঠে। পরদিন খেলা, এই সন্ধ্যাবেলায় কেন এই আয়োজন। জিজ্ঞেস করতে তার উত্তর, ‘আসলে দিনের বেলা তো সবাইকে পাওয়াই যাচ্ছিল না। একে পাওয়া যায় তো ওকে পাওয়া যায় না। কিন্তু সবাইকে জানানো হয়েছে সময়মত।’
শেষ পর্যন্ত নবিকে আর পাওয়া গেল না। পরে জানা গেল দুপুরে মিরপুরে সংবাদ সম্মেলন করে যাওয়া নবি নাকি ঢাকার যানজটে আটকে পড়েছেন। কিন্তু পূর্ব নির্ধারিত একটি আয়োজনে যানজটের কারণে একজন অনুপস্থিত থাকছেন, এমটা তো বিস্ময়কর বটেই।
Comments