বাদ পড়ল সেই আয়াক্স
গত মৌসুমের ডাক হর্স ছিল তারা। ফাইনালের প্রায় দ্বার থেকে ফিরে এসেছিল দলটি। এবারও শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত। দ্বিতীয় রাউন্ডে প্রায় এক পা দিয়ে রেখেছিল তারা। কিন্তু ঘরের মাঠে ভ্যালেন্সিয়ার বিপক্ষে পেরে উঠল না দলটি। ০-১ গোলের ব্যবধানে হেরে যায় আয়াক্স আমস্টারডাম। ফলে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় দলটি। লিলে কে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের দ্বিতীয় রাউন্ডে ভ্যালেন্সিয়ার সঙ্গী হয়েছে ইংলিশ ক্লাব চেলসি।
ঘরের মাঠে এদিন ম্যাচের ২৪তম মিনিটেই পিছিয়ে পড়ে আয়াক্স। ফেরান টোরেসের বাড়ানো বল অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন রদ্রিগো মোরেনো। দারুণ এক শটে বল জালে জড়ালে এগিয়ে যায় ভ্যালেন্সিয়া। শেষ পর্যন্ত জমাট রক্ষণে এ গোলের লিড ধরে রাখে তারা। যদিও বেশ কিছু সহজ সুযোগ পেয়েছিল জিয়েখ-ডি বিকরা। কিন্তু কাজে লাগাতে না পারলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
স্ট্যামফোর্ড ব্রিজে দিনের অপর ম্যাচে লিলেকে ২-১ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করে চেলসি। ম্যাচের ১৯তম মিনিটে এগিয়ে যায় চেলসি। উইলিয়ানের কাট-ব্যাক থেকে দারুণ এক ব্যাকহিলে লক্ষ্যভেদ করেন ট্যামি আব্রাহাম। ৩৫তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি। কর্নার থেকে পাওয়া বলে দারুণ হেডে বল জালে জড়ান স্প্যানিশ ডিফেন্ডার সেজার আজপিলিকুয়েতা।।
৭৮তম মিনিটে ব্যবধান কমায় লিলে। বাঁ পায়ের শটে জাল খুঁজে নেন চেলসির সাবেক ফরোয়ার্ড লোইক রেমি। তবে এরপর কোন গোল করতে না পারলে হার মানতে হয় তাদের। স্বস্তির জয়ে টিকে রইল চেলসি।
গ্রুপ পর্বের পাঁচ ম্যাচ শেষে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল আয়াক্স। শেষ ম্যাচে হেরে যাওয়ায় সেখানেই রইল তারা। তাদের হারিয়ে ছয় ম্যাচে ১১ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে উঠে আসে ভ্যালেন্সিয়া। সমান ম্যাচে চেলসির পয়েন্টও ১১। মুখোমুখি লড়াইয়ে পিছিয়ে থাকায় গ্রুপ রানার্সআপ হয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয় তাদের।
‘জি’ গ্রুপে আগেই শেষ ষোলো নিশ্চিত করা লাইপজিগের সঙ্গে ২-২ ড্র করে নকআউট পর্ব নিশ্চিত করেছে ফরাসী ক্লাব লিওঁ। ১১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন লাইপজিগ। লিঁওর সংগ্রহ ৮ পয়েন্ট। বেনফিকার মাঠে ৩-০ গোলে হেরে যাওয়ায় বাদ পরে যায় জেনিত। এ দুই দলের পয়েন্ট সমান ৭।
Comments