খেলা

ইমরুলের ব্যাটে চট্টগ্রামের সহজ জয়

বিপিএলে বরাবরই সফল ইমরুল কায়েস। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কও তিনি। তার নেতৃত্বেই গতবার শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা ছন্দে নেই তিনি। তবে বিপিএল মাঠে গড়াতেই আবার নিজেকে ফিরে পেলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। তার ব্যাটে চড়ে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে শুভ সূচনা করেছে দলটি।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বিপিএলে বরাবরই সফল ইমরুল কায়েস। বর্তমান চ্যাম্পিয়ন অধিনায়কও তিনি। তার নেতৃত্বেই গতবার শিরোপা জিতেছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্স। যদিও সাম্প্রতিক সময়ে খুব একটা ছন্দে নেই তিনি। তবে বিপিএল মাঠে গড়াতেই আবার নিজেকে ফিরে পেলেন তিনি। বঙ্গবন্ধু বিপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সকে এনে দিলেন দারুণ এক জয়। তার ব্যাটে চড়ে সিলেট থান্ডারকে ৫ উইকেটে হারিয়ে বিপিএলে শুভ সূচনা করেছে দলটি।

বুধবার মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ১৬২ রান তোলে সিলেট। জবাবে ছয় বল বাকী থাকতে পাঁচ উইকেট হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছায় চট্টগ্রাম।

লক্ষ্য তাড়ায় অবশ্য শুরুটা ভালো হয়নি চট্টগ্রামের। দলীয় ২০ রানে দুই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা। এরপর ছোট দুটি জুটিতে ইনিংস মেরামতের চেষ্টা করেন ইমরুল কায়েস। তবে জয়ের ভিতটা আসে পঞ্চম উইকেট জুটিতে। চ্যাডউইক ওয়াল্টনের সঙ্গে স্কোরবোর্ডে ৮৬ রান যোগ করেন কায়েস। এরপর আর পিছে তাকাতে হয়নি তাদের।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬১ রানের ইনিংস খেলেন ইমরুল। ৩৮ বলে এ ইনিংসটি খেলেন তিনি। এদিন চারের চেয়ে ছক্কা মারায় মনযোগী ছিলেন এ ব্যাটসম্যান। চার মেরেছেন ২টি। ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৫টি। দারুণ ব্যাট করেছেন ওয়াল্টনও। দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন তিনি। ৩০ বলে সমান ৩টি চার ও ২টি ছক্কায় ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন এ ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যান। আভিস্কা ফের্নান্ডোর ব্যাট থেকে ৩৩ রান।

এর আগে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি সিলেটেরও। স্কোরবোর্ডে ৫ রান যোগ করতেই আউট হন ওপেনার রনি তালুকদার। তবে দ্বিতীয় উইকেটে জনাথন চার্লসকে নিয়ে ৪৬ রানের জুটি গড়ে প্রাথমিক চাপ সামলে নেন মোহাম্মদ মিঠুন। তাতে একাই ৩৫ রান করেন চার্লস। এরপর দ্রুত দুটি উইকেট হারিয়ে ফের কিছুটা চাপে পড়েছিল দলটি। তবে অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকতকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়ে দলকে লড়াইয়ের পুঁজি এনে দেন মিঠুন। চতুর্থ উইকেটে ৯৬ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান। ফলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৬২ রান সংগ্রহ করে চট্টগ্রাম।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৪ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন মিঠুন। ৪৮ বলে ৪টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। চট্টগ্রামের পক্ষে ২৭ রানের খরচায় ২টি উইকেট নিয়েছেন রুবেল হোসেন।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

সিলেট থান্ডার: ২০ ওভারে ১৬২/৪ (রনি ৫, চার্লস ৩৫, মিঠুন ৮৪*, মেন্ডিস ৪, মোসাদ্দেক ২৯, মিলন ১*; নাসুম ১/২৪, রুবেল ২/২৭, এমরিত ১/৩৮, মুক্তার ০/২২, নাসির ০/২২, বার্ল ০/১৫)। 

চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১৯ ওভারে ১৬৩/৫ (আভিস্কা ৩৩, জুনায়েদ ৪, নাসির ০, ইমরুল ৬১, বার্ল ৩, ওয়াল্টন ৪৯*, নুরুল ৫*; গাজী ০/৩৬, সান্তোকি ১/৩৪, অপু ২/২৩, ইবাদত ১/৩৩, মোসাদ্দেক ১/৯, নাভিন ০/২৭)।

ফলাফল: চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ৫ উইকেটে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইমরুল কায়েস (চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স)।

Comments

The Daily Star  | English
Bangladesh Public Administration Ministry's Logo

2 deputy commissioners among 3 transferred ahead of polls

The Ministry of Public Administration today announced transfers of at least three government officials, including two deputy commissioners, ahead of the upcoming national parliamentary election

10m ago