কেনো মামলা করলো গাম্বিয়া? প্রশ্ন মিয়ানমারের

১১ ডিসেম্বর ২০১৯, নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে অভিযুক্ত মিয়ানমারের পক্ষে অংশ নেন অং সান সু চি। ছবি: আইসিজের ভিডিও থেকে নেওয়া

রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গা গণহত্যার ঘটনায় কেনো মামলা করলো গাম্বিয়া?- আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের (আইসিজে) কাছে প্রশ্ন করেছে মিয়ানমার।

আদালত যদি কোনো অন্তর্বর্তী আদেশ দেয় তবে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া বাধাগ্রস্ত হবে বলে দাবি করেছে মিয়ানমার।

আজ (১১ ডিসেম্বর) নেদারল্যান্ডের হেগে আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলার শুনানির দ্বিতীয় দিনে অভিযুক্ত দেশটির এজেন্ট ক্রিস্টোফার স্টকার ও মিস ওকোয়া আদালতকে এ কথা বলেন।

স্টকার বলেন, মিয়ানমারের ঘটনায় বিক্ষুদ্ধ হওয়ার কথা বাংলাদেশের। কিন্তু, মামলা করেছে গাম্বিয়া।

তার মতে, ওআইসির পক্ষে মামলার প্রস্তুতি নেওয়ার পর গাম্বিয়া মিয়ানমারে গণহত্যার প্রসঙ্গটি এনেছে। এর আগ পর্যন্ত দেশটি এ বিষয়ে কোনো কিছু বলেনি।

গাম্বিয়ার সঙ্গে মিয়ানমারের কোনো বিরোধ নেই দাবি করে মিয়ানমারের এজেন্ট বলেন, জাতিসংঘের তদন্ত (তথ্যানুসন্ধানী) দলের প্রতিবেদন এবং ওআইসির প্রস্তাবের ভিত্তিতে মিয়ানমারের কাছে যে চিঠি দেওয়া হয়েছিলো তা থেকে দেশ দুটির মধ্যে কোনো বিরোধ তৈরি হতে পারে না।

মিয়ানমার মনে করে, আন্তর্জাতিক আদালতকে গণহত্যা মামলা বিবেচনা করতে হলে অবশ্যই মিয়ানমার ও গাম্বিয়ার মধ্যে বিরোধ থাকতে হবে। গাম্বিয়ার অভিযোগ ও বিরোধ ইসলামি সম্মেলন সংস্থার (ওআইসি) তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেন মিয়ানমারের এজেন্ট।

মামলার খরচ ওআইসি বহন করছে উল্লেখ করে স্টকার বলেন, গাম্বিয়া নামমাত্র আবেদনকারী দেশ। তারা মামলা করেছে ওআইসির পক্ষে। গাম্বিয়া গত অক্টোবরে মিয়ানমারকে কূটনৈতিক পত্র (নোট ভারবাল) দেওয়ার এক সপ্তাহ আগেই ওআইসি মামলার বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া শুরু করে।

ওআইসির ‘ঢাকা ঘোষণা’য় গণহত্যা বিশেষণ ব্যবহার করা হয়নি বলে আদালতকে জানান স্টকার। তিনি বলেন, ‘ঢাকা ঘোষণা’য় জাতিগত নির্মূলের কথা বলা হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে গাম্বিয়ার রাষ্ট্রপতি যে বক্তব্য দিয়েছেন সেখানেও গণহত্যার কথা তিনি বলেননি।

আন্তর্জাতিক আদালতে গণহত্যা মামলাটি গাম্বিয়ার নয়, এটি ওআইসির- এমন মত প্রকাশ করে তিনি বলেন, গণহত্যা সনদ অনুযায়ী কোনো সংস্থা বা জোট আদালতে মামলা করার ক্ষমতা রাখে না।

আরও পড়ুন:

আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী বিচার হওয়া অযৌক্তিক: সু চি

রাখাইন রাজ্যের সমস্যাটি আন্তর্জাতিক আদালতে আনার মতো বিষয় নয়: সু চি

‘মিয়ানমারে গণহত্যার ঘটনা ঘটছে না’

গ্রাম পুড়িয়ে দেওয়ার প্রমাণ আছে গণকবরের প্রমাণ নেই: মিয়ানমারের আইনজীবী

Comments

The Daily Star  | English

BNP hails AL ban, urges speedy trials

Fakhrul seeks election roadmap, citing public frustration over the lack of democratic process

57m ago