‘সশস্ত্র সংঘাতের কথা বলে কখনো গণহত্যার সাফাই গাওয়া যায় না’

•       পুনর্বাসন প্রক্রিয়া একটি প্রতারণা

•       রোহিঙ্গাদের জমি কেড়ে নিয়ে অন্যদের দেওয়া হয়েছে

•       মিয়ানমার কাউন্সিল স্বীকার করেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকর নয়

•       সন্ত্রাস দমনের কথা বলে রোহিঙ্গাদের ওপর চরম নির্যাতন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী

 

সশস্ত্র সংঘাতের কথা বলে কখনই গণহত্যার সাফাই গাওয়া যায় না বলে মন্তব্য করেছে গাম্বিয়া।

নেদারল্যান্ডসের হেগে অবস্থিত আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে (আইসিজে) মিয়ানমারের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে দায়েরকৃত মামলায় আজ (১২ ডিসেম্বর) তৃতীয় ও শেষ দিনে যুক্তি দেওয়ার সময় গাম্বিয়ার এজেন্ট আদালতকে এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, সন্ত্রাস দমনের কথা বলে রোহিঙ্গাদের ওপর চরম নির্যাতন করেছে মিয়ানমার সেনাবাহিনী। রোহিঙ্গা শিশুরা কি সন্ত্রাসী ছিলো? অথচ তাদেরকে নির্বিচারে হত্যা করা হয়েছে। গর্ভবতী নারীদের পর্যন্ত ধর্ষণ করা হয়েছে। রোহিঙ্গা নারীদের গণধর্ষণ করা হয়েছে। এগুলোকে কি সন্ত্রাসবিরোধী অভিযান বলে?

সশস্ত্র সংগঠন আরসার হামলার কথা বলেছে মিয়ানমার। অথচ দেখা যাচ্ছে যে মিয়ানমার নিরাপত্তা চৌকিতে আরসার হামলার দুই সপ্তাহ আগে উত্তর রাখাইনে সেনা মোতায়েন করা হয়েছিলো বলে আদালতকে জানায় গাম্বিয়া।

গাম্বিয়ার এজেন্ট বলেন, মিয়ানমার সেনারা প্রত্যেককেই নির্যাতন করেছে। তারা গর্ভবতী নারী ও ছোট শিশুদেরকেও নির্যাতন করেছে। রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়নি। রাষ্ট্রীয়ভাবে তাদের বিরুদ্ধে ঘৃণা ছড়ানো হয়েছে।

রোহিঙ্গাদের বাড়ি-ঘর ধ্বংস করা হয়েছে। সেখানে অন্য জাতি-গোষ্ঠীর লোকদের জন্যে ঘর বানানো হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জমি কেড়ে নিয়ে অন্যদের দেওয়া হয়েছে।

স্বেচ্ছা প্রত্যাবাসনের পরিবেশ এখনো সৃষ্টি হয়নি সে কথা ইউএনএইচসিআরের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। মিয়ানমার সরকার ও সেনাবাহিনী ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি পর্যন্ত ব্যবহার করে না। পুনর্বাসন প্রক্রিয়া একটি প্রতারণা। মিয়ানমার কাউন্সিল স্বীকার করেছে প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া কার্যকর নয়, যোগ করেন তিনি।

উল্লেখ্য, আজ বিকাল ৩টায় শুরু হওয়া শুনানির প্রথমে রোহিঙ্গা গণহত্যার সাক্ষ্য-প্রমাণ উপস্থাপন করছে গাম্বিয়া। দেড় ঘণ্টা বলার সুযোগ পাবে গাম্বিয়া এবং বিরতির পর রাত সাড়ে ৯টায় শুরু হয়ে দেড় ঘণ্টা বলবে মিয়ানমার।

গণহত্যার মামলার শুনানিতে মিয়ানমারের পক্ষে অংশ নিতে নেদারল্যান্ডসে অবস্থান করছেন দেশটির অং সান সু চি। আর গাম্বিয়ার পক্ষে মামলায় অংশ নিচ্ছেন দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল ও আইনমন্ত্রী আবুবকর মারি তামবাদু।

Comments

The Daily Star  | English

Not going anywhere till the job is done: Adviser Wahiduddin Mahmud

When asked about the chief adviser's resignation the adviser said, 'But he did not say he was leaving'

1h ago