আফ্রিদির শততম শূন্য
কলার উঁচিয়ে নায়কোচিত ভঙিমায় ব্যাট করতে নামেন। নেমেই প্রথম বলেই ছক্কা, না হয় অক্কা। শহিদ আফ্রিদির ট্রেকমার্ড হয়ে আছে এমন দৃশ্য। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট, স্বীকৃত ঘরোয়া ক্রিকেটে তার শূন্য রানে ফিরে যাওয়ার দৃশ্য দেখা গেছে বহুবার। বৃহস্পতিবার এবারের বিপিএলে নিজের প্রথম ম্যাচে নেমে প্রথম বলেই আউট হয়ে ফেরেন আফ্রিদি। এতে তিনি স্পর্শ করেছেন এক অগৌরবের রেকর্ড। স্বীকৃত ক্রিকেটে শততমবারের মতো শূন্য রানে আউট হলেন এই পাকিস্তানি।
ঢাকা প্লাটুনের ৮০ রনে ৫ উইকেট পড়ার পর নেমেছিলেন আফ্রিদি। পরিস্থিতির দাবি ছিল একটা ঝড়। সেই দাবি মেটাতে প্রথম বল থেকেই বরাবরের মতই ছিল তার মারার ভাবনা। রবি বোপারের অফ স্টাম্পের বাইরে বলে কাভারের দিকে উড়াতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন আফ্রিদি।
এতে ক্যারিয়ারের একশোবারের মতো শূন্য রানে আউট হওয়ার তেতো এক রেকর্ডে পা পড়ে তার। ৩৬৯ ওয়ানডেতে আফ্রিদি শূন্য রানে আউট হয়েছেন ৩০ বার, তারচেয়ে বেশি ৩৪ শূন্য আছে সনাত জয়াসুরিয়ার। আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে ৮টি শূন্য আছে আফ্রিদির।ক্যারিয়ারে সবচেয়ে কম খেলেছেন টেস্ট। টেস্টে মোট ৬টি শূন্য মেরেছেন তিনি। বাকি ৫৪টি শূন্য মেরেছেন স্বীকৃত পর্যায়ের ঘরোয়া ক্রিকেটে (প্রথম শ্রেণী, লিস্ট-এ, টি-টোয়েন্টি)।
স্বীকৃত ক্রিকেট ছাড়া হিসেব করলে আফ্রিদির শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির অগুনতি। এমনকি মজার আইচ ক্রিকেটেও শূন্য রানে আউট হওয়ার নজির আছে তার।
এখনো স্বীকৃত ক্রিকেট চালিয়ে যাওয়াদের মধ্যে সবচেয়ে অভিজ্ঞ পাকিস্তানের এই অলরাউন্ডার। ১৯৯৬ সালে খুব অল্প বয়সে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে পা পড়েছিল তার। ২৩ বছর ধরে চালিয়ে যাচ্ছেন খেলা। অফিসিয়ালি বয়স ছুঁয়েছে চল্লিশের ঘর। এখনো বিপিএলের মতো ফ্রেঞ্চাইজি ক্রিকেটে ডাক পড়ে তার। অবশ্য কদিন আগে প্রকাশিত আত্মজীবনীতে নিজের বয়স পাঁচ বছর কমানোর কথাও স্বীকার করেন তিনি। বর্ণময় ক্যারিয়ারের এই ক্রিকেটারের মারকাটারি ব্যাটিং আর লেগ স্পিনের জন্য দর্শকপ্রিয়তাও আছে তুমুল।
Comments