‘নিয়োগের তদবির নিয়ে লড়াই করছেন নির্বাচন কমিশনাররা’ রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি টিআইবির

নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারকে অপসারণে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
tib_2.jpg

নির্বাচন কমিশনে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অযাচিত হস্তক্ষেপের অভিযোগ ওঠার প্রেক্ষাপটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সব কমিশনারকে অপসারণে রাষ্ট্রপতির প্রতি আহ্বান জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একের পর এক কেলেঙ্কারির জন্ম দেওয়ার পর নির্বাচন কমিশনাররা এখন নিয়োগের তদবির নিয়ে লড়াই করছেন বলে অভিযোগ করেছে দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি।

টিআইবি বলেছে, নৈতিক স্খলনের দায় নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য কমিশনাররা সরে যাবেন না, এমনটা প্রতীয়মান হওয়ায় এখন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটিতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ চাওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আজ বিবৃতি দিয়ে টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনার, কমিশন সচিবালয় এবং অন্যান্য কমিশনারদের ন্যক্কারজনক কাদা ছোড়াছুড়ির যে খবর দেশের প্রায় সব গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে তা অভূতপূর্ব ও গোটা জাতির জন্য বিব্রতকর। অন্তত একজন কমিশনার একজন নিরাপত্তারক্ষীর নিয়োগের জন্য কমিশন সচিবালয়কে সুপারিশ করেছিলেন বলে প্রকাশিত সংবাদ থেকে জানা যায়। সেই সুপারিশ রক্ষা করা হয়নি বলে কমিশনাররা তোলপাড় করেছেন।”

তিনি বলেন, “সাংবিধানিক পদে থেকে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ যে সরাসরি নৈতিক স্খলন সেটা অনুধাবন করার মতো অবস্থাতেও নির্বাচন কমিশনাররা নেই।”

ড. জামান বলেন, “প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ অন্যান্য কমিশনাররা এবং সচিবালয়ের কর্মকর্তারা প্রশিক্ষণের নামে জনগণের করের টাকা হরিলুট করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে। কিন্তু তারপরও ছিল অস্বস্তিকর নীরবতা। এরপর ধরা পড়ল বলপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিক রোহিঙ্গারা জাতীয় পরিচয়পত্র নিচ্ছেন অবৈধ লেনদেনের বিনিময়ে, যাতে জড়িত কমিশন সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এভাবে দেশবাসীর সঙ্গে ভয়াবহ প্রতারণা ও দেশের নিরাপত্তার জন্য চরম ঝুঁকি সৃষ্টি করা হলো। এখন সবাই মিলে লড়াই করছেন নিম্নপদস্থ কর্মচারী নিয়োগের তদবির আর অনিয়ম নিয়ে।”

এই নির্বাচন কমিশন গোটা জাতির মাথা হেঁট করে দিচ্ছে বলে মন্তব্য করেন ড. জামান। তিনি বলেন, “নির্বাচন কমিশন যে একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান সেই সত্যটাও কমিশন সংশ্লিষ্টরা সম্ভবত ভুলে গেছেন। তাদের অধীনে ভবিষ্যৎ যে কোনো কার্যক্রম ও সিদ্ধান্ত প্রশ্নবিদ্ধ হতে বাধ্য। গণতন্ত্রের স্বার্থেই এহেন অবমাননাকর অধ্যায়ের শেষ হওয়া দরকার।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago