গুরবাজ-রুশোর ঝড়ো ফিফটি, চট্টগ্রামকে উড়িয়ে দিল খুলনা

আগের ম্যাচে জিতলেও উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে একাদশে চার পরিবর্তন আনা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স গড়তে পারেনি বড় সংগ্রহ। বোলারদের নৈপুণ্যের পর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান খুলনা টাইগার্সের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগান এই ওপেনারের পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলে রুশোও। তাতে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে এবারের আসর শুরু করেছে খুলনা।
rossouw and gurbaz
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

আগের ম্যাচে জিতলেও উইনিং কম্বিনেশন ভেঙে একাদশে চার পরিবর্তন আনা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স গড়তে পারেনি বড় সংগ্রহ। বোলারদের নৈপুণ্যের পর ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালান খুলনা টাইগার্সের ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। আফগান এই ওপেনারের পর ঝড়ো ব্যাটিংয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন দক্ষিণ আফ্রিকার রাইলে রুশোও। তাতে চট্টগ্রামকে উড়িয়ে ৮ উইকেটের দারুণ জয়ে এবারের আসর শুরু করেছে খুলনা।

বঙ্গবন্ধু বিপিএলে বৃহস্পতিবারের (১২ ডিসেম্বর) দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেটে ১৪৪ রান তোলে রায়ান এমরিটের চট্টগ্রাম। জবাবে ৩৭ বল হাতে রেখে মাত্র ২ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলে জয় নিশ্চিত করে মুশফিকুর রহিমের খুলনা।

লক্ষ্য তাড়ায় ইনিংসের চতুর্থ বলেই নাজমুল হোসেন শান্তর উইকেট হারায় খুলনা। কিন্তু চট্টগ্রামের আনন্দ স্থায়ী হয়নি। দলটির বোলারদের শাসন করে চার-ছক্কার বৃষ্টি ঝরান গুরবাজ। ১৮ বলে হাফসেঞ্চুরি স্পর্শ করেন। বিপিএলের ইতিহাসে এটি দ্বিতীয় দ্রুততম ফিফটি। মুখোমুখি হওয়া পরের বলেই অবশ্য সাজঘরে ফেরেন তিনি। তার আগে গুরবাজ মারেন ৪ চার ও ৫ ছক্কা, রুশোকে নিয়ে গড়েন ৩২ বলে ৭০ রানের জুটি।

ততক্ষণে হাত খুলতে শুরু করা রুশো এরপর সঙ্গী হিসেবে পান অধিনায়ক মুশফিককে। এই জুটি ৪৬ বলে অবিচ্ছিন্ন ৭২ রান যোগ করে ম্যাচ শেষ করে। ৩২ বলে ফিফটি ছোঁয়া রুশো অপরাজিত থাকেন ৩৮ বলে ৬৪ রানে। তার ইনিংসে ছিল ৭ চার ও ২ ছয়। বল মাঠের বাইরে পাঠিয়ে খেলা শেষ করা মুশফিক ৩ চারে ২১ বলে ২৪ রান করেন।

এর আগে লেন্ডল সিমন্স ও চ্যাডউইক ওয়ালটনের ৪৫ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভালো শুরু পায় চট্টগ্রাম। তবে ধারাটা বজায় রাখতে পারেনি তারা। ওই জুটিই হয়ে থাকে সর্বোচ্চ। দলটির প্রথম ছয় ব্যাটসম্যান দুই অঙ্কে পৌঁছালেও কেউই ঢুকতে পারেননি ত্রিশের ঘরে। শেষ ৫ ওভারে ৫১ রান তোলায় অবশ্য লড়াইয়ের পুঁজি পেয়েছিল চট্টগ্রাম। তবে তা কাজে লাগাতে পারেননি দলটির বোলাররা।

সপ্তম ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্যাটসম্যান সিমন্স ২৩ বলে ২৬ রান করে আউট হন। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা তারই স্বদেশী ওয়ালটন পরের ওভারে সাজঘরে ফেরেন ১৮ বলে ১৮ রানে। ব্যর্থ হন গেল ম্যাচের জয়ের নায়ক ইমরুল কায়েস। তার ব্যাট থেকে আসে ১৪ বলে ১২ রান। চারে নামা নাসির হোসেন লম্বা সময় উইকেটে থাকলেও রানের গতিতে দম দিতে পারেননি। ২৭ বলে ২৪ রান করেন তিনি।

উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান নুরুল হাসান সোহান ১৭ বলে করেন ১৯ রান। ছয়ে নেমে মুক্তার আলী চট্টগ্রামের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৯ রান করেন ১৪ বলে। তার ইনিংসে ছিল ৪ ছক্কা। খুলনার হয়ে একটি করে উইকেট নেন রবি ফ্রাইলিঙ্ক, শফিউল ইসলাম, শহিদুল ইসলাম ও আমিনুল ইসলাম বিপ্লব। বাকি দুটি রানআউট।

Comments