রুম্পার শরীরে ধর্ষণের আলামত নেই: চিকিৎসক

rumpa_1.jpg
রুবাইয়াত শারমিন রুম্পা। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বেসরকারি স্টামফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবাইয়াত শারমিন রুম্পার মরদেহের ময়নাতদন্তে ধর্ষণের কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) একজন চিকিৎসক।

আজ (১৪ ডিসেম্বর) ঢামেক ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ময়নাতদন্তের তথ্য-উপাত্ত প্রাথমিকভাবে বিশ্লেষণের পর আগামীকাল পুলিশকে একটি প্রতিবেদন দেবেন তারা।

গত ৪ ডিসেম্বর রাতে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী এলাকা থেকে অজ্ঞাতপরিচয় এক তরুণীর মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। পরদিন রাতে স্বজনেরা রমনা থানায় মরদেহের ছবি দেখে রুম্পার পরিচয় শনাক্ত করেন।

শান্তিবাগে যে বাড়িতে রুম্পা থাকতেন সেখান থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে সিদ্ধেশ্বরী সার্কুলার রোডের আয়েশা শপিং কমপ্লেক্সের পেছনে তার মরদেহ পাওয়া যায়। শপিং সেন্টারের পাশাপাশি আরও দুটি বাড়ি রয়েছে সেখানে। এগুলোর যেকোনো একটির উঁচু থেকে মাটিতে আছড়ে পড়েন তিনি।

ঘটনার আগে রুম্পা তার ব্যাগ ও মোবাইল ফোন বাসায় রেখে গিয়েছিলেন। মাকে ফোন করে বলেছিলেন, জরুরি একটা কাজে বাইরে যাচ্ছেন। এর পর থেকে বাড়ির আর কারও সঙ্গে যোগাযোগ হয়নি তার।

গত ৭ ডিসেম্বর রুম্পার বাবা রোকন উদ্দিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “আমার মেয়েকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। সে আত্মহত্যা করতেই পারে না।”

সিদ্ধেশ্বরীর যে স্থানে রুম্পার মরদেহ পড়ে ছিলো, এর আশপাশের বিভিন্ন ভবন ও সড়কের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে বিশ্লেষণ করছে পুলিশ। একই সঙ্গে রুম্পার বন্ধু আবদুর রহমান ওরফে সৈকতকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করেছেন তারা।

পুলিশ এখন রুম্পার মরদেহের ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছেন। তবে ঘটনার নয়দিন পরও রুম্পার মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারছেন না তারা।

আরও পড়ুন:

রুম্পার বন্ধু সৈকত ৪ দিনের রিমান্ডে

রুম্পার বন্ধু গ্রেপ্তার

রুম্পাকে হত্যা করা হয়েছে: বাবা

Comments

The Daily Star  | English
rickshaws banned on Dhaka's main roads

Rickshaws no longer allowed on main roads: DNCC

More than 100 illegal battery-powered rickshaws were seized during the joint operation

2h ago