সিলেটকে হারাল ঢাকা

এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে পর্যাপ্ত সহায়তা পেলেন না কোন দলের আর কোন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। ফলে ঢাকা প্লাটুনের কাছেও হারতে হলো সিলেট থান্ডারকে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারল দলটি। শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটকে ২৪ রানে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

এক প্রান্তে বুক চিতিয়ে লড়াই করলেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। তবে পর্যাপ্ত সহায়তা পেলেন না কোন দলের আর কোন ব্যাটসম্যানের কাছ থেকে। ফলে ঢাকা প্লাটুনের কাছেও হারতে হলো সিলেট থান্ডারকে। এ নিয়ে টানা তৃতীয় ম্যাচে হারল দলটি। শনিবার দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে সিলেটকে ২৪ রানে হারিয়ে নিজেদের দ্বিতীয় জয় তুলে নিল মাশরাফি বিন মুর্তজার দল।

মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে এদিন আগে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৪ উইকেটে ১৮২ রান করে ঢাকা। জবাবে মোসাদ্দেকের দারুণ ব্যাটিংয়ের পরও ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১৫৮ রানের বেশি করতে পারেনি সিলেট।

ঢাকার দেওয়া ১৮৩ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১৩ রানে প্রথম উইকেট খোয়ায় সিলেট। এরপর জনাথন চার্লসকে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে দলের হাল ধরেন রনি তালুকদার। ৩৪ রানের জুটিতে প্রাথমিক চাপ সামলে নেওয়ার চেষ্টা করেন। তবে এ জুটি ভাঙতেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় তারা। ৬১ রানে প্রথম সারির পাঁচ ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে দলটি। এ অবস্থায় ইনিংস মেরামতের কাজে নামেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন। নাঈম হাসানকে নিয়ে ৩৬ ও দেলোয়ার হোসেনকে নিয়ে ৩৪ রানের দুটি গড়েন অধিনায়ক। তবে জয়ের জন্য তা যথেষ্ট হয়নি।

শেষ পর্যন্ত ব্যাট করে ৫৯ রানে অপরাজিত থাকেন মোসাদ্দেক। ৪৩ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৯ রান আসে চার্লসের ব্যাট থেকে। ঢাকা পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মাশরাফি ও হাসান মাহমুদ।

এর আগে টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে দেখেশুনেই খেলেন দলের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও এনামুল হক বিজয়। প্রথম দুই ওভারে আসেনি কোন বাউন্ডারি। এরপর নাঈম হাসানের করা তৃতীয় ওভারে দুটি চার ও একটি ছক্কা মেরে আগ্রাসনের শুরুটা করেন বিজয়। তার যখন ব্যক্তিগত ২৮ রান, তখন তামিম করেন মাত্র ৫ রান। এরপর ধীরে ধীরে খোলস ভাঙতে থাকেন তামিমও। দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিয়ে ৮৫ রানের দারুণ ওপেনিং জুটি গড়েন তারা। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে যায় দলটি।

ঢাকার সব ব্যাটসম্যানরাই কম বেশি রান করেন। তবে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬২ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। ৪২ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন তিনি। তামিমের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। এছাড়া থিসারা পেরেরা ২২, লরি ইভান্স ২১, জাকের আলী ২০ ও ওয়াহাব রিয়াজ ১৭ রান করেন। সিলেটের পক্ষে একটি করে উইকেট নেন দেলোয়ার হোসেন, ইবাদত হোসেন, নাঈম হাসান ও মোসাদ্দেক।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

ঢাকা প্লাটুন: ২০ ওভারে ১৮২/৪ (তামিম ৩১, বিজয় ৬২, ইভান্স ২১, জাকের ২০, থিসারা ২২, ওয়াহাব ১৭; নাঈম ১/৩৫, সান্তোকি ০/৩৬, ইবাদত ১/৩৯, নাজমুল ০/২৬, মোসাদ্দেক ১/১৬, দেলোয়ার ১/২৮)।

সিলেট থান্ডার্স: ২০ ওভারে ১৫৮/৭ (রনি ১৪, ফ্লেচার ১০, চার্লস ১৯, মিঠুন ৮, শফিকুল্লাহ ২, মোসাদ্দেক ৬০*, নাঈম ১০, দেলোয়ার ১৭, সান্তোকি ৬*; মাশরাফি ২/২৯, হাসান ২/২৪, থিসারা ০/৩১, ওয়াহাব ১/৩২, শাদাব ০/২৮, মেহেদী ০/৯)।

ফলাফল: ঢাকা প্লাটুন ২৪ রানে জয়ী।

Comments