হেটমায়ার তাণ্ডবে উড়ে গেল ভারত
বিশাল বিশাল সব ছক্কা, বল পড়ছে গ্যালারিতে বা স্টেডিয়ামের ছাদে। রান তাড়ায় শিমরন হেটমায়ার হয়ে উঠলেন খুনে। পেলেন ঝড়ো সেঞ্চুরি। আরেক পাশে ধীর-স্থির ব্যাট করে সেঞ্চুরি পাওয়া শেই হোপকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে উড়িয়ে দিলেন তিনি।
রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) চেন্নাইতে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারত করেছিল ৮ উইকেটে ২৮৭ রান। জবাব দিতে নেমে দুই সেঞ্চুরিতে ১৩ বল আগেই ৮ উইকেটে জিতেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৭ ছক্কায় ১০৬ বলে ১৩৯ রান করে আউট হন হেটমায়ার। ঠিক বিপরীত ধাঁচের ব্যাটিংয়ে ১৫১ বলে ১০২ রান করে অপরাজিত থাকেন হোপ।
এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামে সবচেয়ে বেশি রান তাড়ার নিজেদের রেকর্ডও এদিন আবার নতুন করে লিখেছে ক্যারিবিয়ানরা। এর আগে ২০০৭ সালে ২৬৮ রান তাড়া করে ভারতকেই হারিয়েছিল তারা।
রান তাড়ায় নেমে ১১ রানে সুনিল আম্রবিসকে হারায় উইন্ডিজ। এরপরই শুরু হয় হেটমায়ারের তান্ডব। আগ্রাসী মেজাজে ব্যাট করে অভ্যস্ত এই বাঁহাতি ছিলেন দারুণ ছন্দে। দ্রুত রান বাড়াতে থাকেন তিনি। চার-ছয়ের ঝড়ে ৮৫ বলে তুলে নেন সেঞ্চুরি। অবশ্য এই সেঞ্চুরিও তার ব্যক্তিগত দ্রুততম নয়। এর আগে ওয়ানডেতে তার চারটি সেঞ্চুরিই ছিল আরও কম বলে।
দ্বিতীয় উইকেটে ২১৮ রানের জুটিতেই খেলার ফল প্রায় নিশ্চিত হয়ে যায়। আগ্রাসী হেটমায়ার ১৩৯ করে মোহাম্মদ শামির বলে ফিরলে নিকোলাস পুরানকে নিয়ে বাকিটা সারেন হোপ। পুরান অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ২৯ রান করে।
এর আগে টস হেরে ব্যাট করা ভারত লোকেশ রাহুল, রোহিত শর্মা আর অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে হারিয়ে বিপদে পড়েছিল। শ্রেয়াস আইয়ারের ৭০ আর ঋশভ পান্তের ৭১ রানে তারা পায় লড়াইয়ের পুঁজি। সে পুঁজি পরে মামুলি হয়ে যায় হেটমায়ারের তাণ্ডবে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ভারত: ৫০ ওভারে ২৮৭/৮ (রোহিত ৩৬, রাহুল ৬, কোহলি ৪, শ্রেয়াস ৭০, পান্ত ৭১, কেদার ৪০, জাদেজা ২১, দুবে ৯, চাহার ৬*, শামি ০*; কটরেল ২/৪৬, হোল্ডার ০/৪৫, ওয়ালশ ০/৩১, পল ২/৪০, জোসেফ ২/৪৫, চেইস ০/৪২, পোলার্ড ১/২৮)
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৪৭.৫ ওভারে ২৯১/২ (হোপ ১০২*, আমব্রিস ৮, হেটমায়ার ১৩৯, পুরান ২৯*; চাহার ১/৪৮, শামি ১/৫৭, কুলদীপ ০/৪৫, দুবে ০/৬৮, কেদার ০/১১, জাদেজা ০/৫৮)।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৮ উইকেটে জয়ী।
সিরিজ: ৩ ম্যাচ সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১-০তে এগিয়ে।
ম্যান অব দা ম্যাচ: শিমরন হেটমায়ার।
Comments