নারায়ণগঞ্জে বিএনপির ৩ নেতা গ্রেপ্তার

BNP.jpg
নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল। ছবি: সংগৃহীত

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মামুন মাহমুদ ও মহানগরের সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামালসহ তিন নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

গতরাত একটা থেকে সদর মডেল থানা পুলিশ নেতাদের বাসায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃত অপরজন হলেন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৭ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি মো. হোসেন কাজল।

নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, ১৬ ডিসেম্বর সকালে শহরে বিজয় মিছিল বের করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। ওই ঘটনায় সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) জয়নাল আবেদীন ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলামকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত ও মারধর করে বিএনপির নেতাকর্মীরা।

তিনি জানান, ওই ঘটনায় রাতে এসআই সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে সদর মডেল থানায় নাশকতা ও সরকারি কাজে বাধা প্রদানের অভিযোগে মামলা দায়ের করেন। এতে ১৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

এই পুলিশ কর্মকর্তা আরও জানান, ওই মামলায় কামালকে রাত একটায় শহরের মিশনপাড়ার সোনারগাঁও ভবনের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে সিদ্ধিরগঞ্জের বাসা থেকে মামুন মাহমুদকে ও রাত দুইটায় শহরের পাইকপাড়া এলাকার বাসা থেকে কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়। মামলার অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত আছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার দ্য ডেইলি স্টারকে জানান, পুলিশ রাতে বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে অভিযান চলায়। নেতাকর্মীদের না পেয়ে তাদের আত্মীয় স্বজনদের হয়রানী করেছে পুলিশ।

তিনি বলেন, “১৬ ডিসেম্বর একটি জাতীয় দিবস ছিলো। বিএনপির নেতাকর্মীরা মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য শান্তিপূর্ণ মিছিল করছিলো। কিন্তু পুলিশ যেমন আগে থেকেই বিএনপির নেতাকর্মীদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেয় না, ব্যানার কেড়ে নেয়, লাঠিচার্জ করে, তেমনি ১৬ ডিসেম্বরের মিছিলেও বাধা দিয়ে ব্যানার কেড়ে নেয়। এ নিয়ে নেতাকর্মীদের সঙ্গে তাদের ধস্তাধস্তি হয়েছে। সেই পরিস্থিতির ওপর যদি পুলিশ কোনো মামলা দেয়, সেটা ভুল সিদ্ধান্ত।”

বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, “আমি মনে করি এটা পুলিশ উদ্দেশ্যমূলকভাবে করেছে। যাতে বিএনপির নেতাকর্মীদের দমিয়ে রাখা যায় এবং রাজপথে নেমে আন্দোলন না করতে পারে। এজন্য তারা নাটক সাজিয়ে এরকম পরিস্থিতি সৃষ্টি করে মামলা করেছে। একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে সঠিক ঘটনা বের করা হোক। তাহলেই দেখা যাবে এখানে বিএনপির নেতাকর্মীদের দোষ, নাকি পুলিশ অত্যুৎসাহী হয়ে বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করেছে।”

Comments

The Daily Star  | English

Tax-free income limit may rise to Tk 3.75 lakh

The government is planning a series of measures in the upcoming national budget to alleviate the tax pressure on individuals and businesses, including raising the tax-free income threshold and relaxing certain compliance requirements.

12h ago