জ্বরে কাবু সালাহউদ্দিনের ঢাকা প্লাটুন
ঢাকা পর্বে খেলতে হয়েছে তিনটি ম্যাচ। চট্টগ্রাম পর্বেও মাঠে নামতে হবে তিনবার। সবমিলিয়ে ১২ দিনের মধ্যে ছয়টি ম্যাচ। এমন আঁটসাঁট সূচির সঙ্গে বাড়তি মাথাব্যথার কারণ হিসেবে যুক্ত হয়েছে খেলোয়াড়দের একের পর এক জ্বরে আক্রান্ত হওয়া। ঢাকা প্লাটুনের কোচ মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন তাই আছেন কিছুটা অস্বস্তিকর অবস্থায়। সূচি নিয়ে জানিয়েছেন অসন্তোষ। খেলোয়াড়দের বিশ্রামের ঘাটতি নিয়েও পড়েছেন ভাবনায়।
বঙ্গবন্ধু বিপিএলের দ্বিতীয় পর্ব খেলতে তামিম ইকবালকে ছাড়াই চট্টগ্রামে এসেছে সালাহউদ্দিনের দল। হঠাৎ করেই জ্বরে পড়েছেন তিনি। বাঁহাতি ওপেনার ভর্তি হয়েছেন রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে। ফলে এই পর্বের প্রথম ম্যাচে স্বাগতিক দল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের বিপক্ষে খেলা হচ্ছে না তার। তামিমকে না পাওয়াটা ঢাকার জন্য বেশ বড় ধাক্কাই বটে। একে তিনি দলটির সেরা ব্যাটসম্যান, তার উপর সবশেষ দুই ম্যাচে দিয়েছেন ফর্মে ফেরার ইঙ্গিত। খেলেছেন যথাক্রমে ৭৪ ও ৩১ রানের ইনিংস।
জ্বর থেকে মাত্রই সেরে উঠেছেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ককে দেখা যায়নি ঢাকার প্রথম তিন ম্যাচের একাদশে। তবে মুমিনুলের ফেরার ইতিবাচক খবরটি পেতে না পেতেই আরও একটি দুঃসংবাদ শুনতে হয়েছে সালাহউদ্দিনকে। পেসার হাসান মাহমুদও পড়েছেন জ্বরে। আরেক গতি তারকা ওয়াহাব রিয়াজ বোনের বিয়ে উপলক্ষে উড়ে গেছেন পাকিস্তানে। তিনি ফিরবেন চট্টগ্রাম পর্ব শেষে।
কিছুটা অসহায়ত্ব আর কিছুটা ক্ষোভ নিয়ে মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) সাংবাদিকদের কাছে সালাহউদ্দিন বলেছেন, ‘সূচি তো আমরা করি না। যদি নিজেরা করতাম হয়তো সুবিধা নিতাম। এখানে আসলে আমাদের কিছু করার নেই। টি-টোয়েন্টি কিন্তু অনেক চাপের খেলা। টানা তিনটা ম্য্যাচ খেলা সহজ না টুর্নামেন্টের শুরুতে। সূচিটা আরেকটু ঢিলেঢালা হলে ভালো হতো। এখন তো চিন্তা করেও কোনো লাভ নেই। তামিমের জ্বর, হাসান মাহমুদেরও জ্বর আসছে আসছে ভাব। এখন কী হবে জানি না। খেলোয়াড়দের একটু বিশ্রাম দিতে পারলে ভালো হতো।’
আগামীকাল চট্টগ্রামের মুখোমুখি হবে ঢাকা। প্রথম তিন ম্যাচে দুই জয় পাওয়া দলটি এরপর মোকাবিলা করবে যথাক্রমে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ও সিলেট থান্ডারকে।
Comments