কুমিল্লার জয়ে সাব্বির-সৌম্যের ব্যাটে রান, মালানের ঝড়

মোহাম্মদ শেহজাদের ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছিল রংপুর রেঞ্জার্স। বড় রান তাড়ায় নেমে সৌম্য সরকার-ভানুকা রাজাপাকশে আনলেন উড়ন্ত শুরু। তিনে নেমে প্রয়োজনীয় রান পেলেন সাব্বির রহমান। ওভারপ্রতি দশের উপর রান নেওয়ার চাহিদায় ঝড় তুলে শেষটা করলেন ডেভিড মালান। তাতে রংপুরকে হারের বৃত্তে রেখে জিতল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

মোহাম্মদ শেহজাদের ঝড়ে চ্যালেঞ্জিং পুঁজি পেয়েছিল রংপুর রেঞ্জার্স। বড় রান তাড়ায় নেমে সৌম্য সরকার-ভানুকা রাজাপাকসে আনলেন উড়ন্ত শুরু। তিনে নেমে প্রয়োজনীয় রান পেলেন সাব্বির রহমান। ওভারপ্রতি দশের উপর রান নেওয়ার চাহিদায় ঝড় তুলে শেষটা করলেন ডেভিড মালান। তাতে রংপুরকে হারের বৃত্তে রেখে জিতল কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।

হারের স্বাদ নিতে থাকা মোহাম্মদ নবির দল বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে জড়ো করেছিল ১৮১ রান। ২ বল বাকি রেখে ওই রান পেরিয়ে যায় কুমিল্লা। টুর্নামেন্টে নিজেদের তৃতীয় ম্যাচে এটি দলটির দ্বিতীয় জয়। সমান ম্যাচে তৃতীয় হার রংপুরের।

শেষ তিন ওভারে জিততে ৩৫ রান দরকার ছিল কুমিল্লার। রংপুরের লুইস গ্রেগরির করা ১৮তম ওভার থেকে ১৩ রান নেয় দলটি। মালান–দাসুন শানাকা মোস্তাফিজুর রহমানের ১৯তম ওভার থেকে নেন আরও ১১ রান।

শানাকাকে হারালেও শেষ ওভারে ১১ রানের চাহিদা ৪ বলেই তুলে নেন মালান। ২৪ বলে ৪২ করে অপরাজিত থাকেন এই বাঁহাতি। এর আগে ৪০ বলে ৪৯ করে সাব্বির আর ৩৪ বলে ৪১ করে অবদান রাখেন সৌম্য।

১৮২ রানের বড় লক্ষ্য তাড়ায় নেমে আল-আমিন জুনিয়রকে টানা চার বাউন্ডারিতে শুরু সৌম্যের। আরেক পাশে রাজাপাকসেও ধারণ করেন একই রুদ্রমূর্তি। প্রথম ৫ ওভারেই কুমিল্লার বোর্ডে জমা হয় ৫৪ রান। পাওয়ার প্লের শেষ বলে শ্রীলঙ্কার রাজাপাকসে আউট হওয়ার আগে ৬১। এই ওপেনার দলের দাবি মিটিয়ে করেন ১৫ বলে ৩২ রান।

তবে দ্বিতীয় উইকেটে কমে যায় রানের গতি। শুরুতে মেরে খেলতে থাকা সৌম্য কিছুটা স্থির হয়ে যান। ক্রিজে আসা সাব্বির সিঙ্গেল পেতেও ভুগছিলেন। এই সময়ে মুগ্ধ করেছেন তরুণ মুকিদুল ইসলাম মুগ্ধ। বেশ ভালো গতিতে দারুণ জায়গায় বল ফেলেছেন রংপুরের এই পেসার। 

Soumya Sarkar
 রান আটকে রাখার কাজ হয়েছে। পরে মিলেছে উইকেটও। মুগ্ধের গতির তারতম্য না বুঝে সৌম্য বল তুলে দেন আকাশে। তার বিদায়ের পর কিছুটা গা ঝাড়া দিয়ে ওঠেন সাব্বির। বলের চেয়ে রান কম করে এগুতে থাকা এই ডানহাতি শেষ দিকে গিয়ে ঘাটতি কিছুটা পুষিয়ে দেন। ম্যাচটাও শেষ করে আসার সুযোগ ছিল তার। কিন্তু মোস্তাফিজের বলে থামেন সাব্বির।

দুপুরে টস জিতে  ব্যাটিং নেওয়া রংপুরের লড়াকু সংগ্রহের নায়ক মূলত একজনই। আফগানিস্তানের শেহজাদ তার স্বভাবসুলভ তেড়েফুঁড়ে মারার অ্যাপ্রোচ নিয়ে জ্বলে উঠেছিলেন এদিন। গায়ের জোরে সীমানা ছাড়া করেছেন একের পর এক বল।

আরেক ওপেনার নাঈম শেখ রান আউটে কাটা পড়লেও শুরুতে উইকেট হারানোর ধাক্কা গায়ে লাগেনি রংপুরের। ২০ বলে ফিফটি পূর্ণ করা শেহজাদ থামেন ২৭ বলে ৬১ করে। এই ভিত থেকে দুইশ পেরিয়ে যেতে পারত রংপুর।

কিন্তু টম অ্যাবেল, অধিনায়ক নবি, গ্রেগরি, নাদিফ চৌধুরীরা থিতু হয়েও টানতে পারেননি ইনিংস। অন্তত আরও ১৫ রান যোগ করতে না পারার মাশুল তাই গুণতে হয়েছে রংপুরকে।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

রংপুর রেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৮১/৮ (শেহজাদ ৬১, নাঈম ৮, অ্যাবেল ২৫, আল-আমিন জুনিয়র ১, নবি ২৬, গ্রেগরি ২১, নাদিফ ১৫, জহুরুল ০, সানি ১৫*, মোস্তাফিজ ১*; মুজিব ২/২৫, রনি ০/৩৯,, সানজামুল ১/৩৮, আল-আমিন ১/৪৫, শানাকা ০/১৬, সৌম্য ১/১৬)

কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৯.৪ ওভারে ১৮২/৪ (রাজাপাকসে ৩২, সৌম্য ৪১, সাব্বির ৪৯ , মালান ৪২* ,দাসুন ১২, ইয়াসির ০*; আল-আমিন জুনিয়র ০/১৭, নবি ১/২৫, মুকিদুল ১/২৬, গ্রেগরি ০/৫৫, মোস্তাফিজ ১/৩৫, অ্যাবেল ১/২১)।

ফল: কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স ৬ উইকেটে জয়ী।

Comments

The Daily Star  | English

How Hasina’s flight was kept off radar

Zgitalyma Islam and Partha Pratim Bhattacharjee.When the air force transporter plane carrying Sheikh Hasina left Dhaka on August 5, it took off as a training flight and turned off its transponders to blur its flightpath and location..The transponders, which transmit location, heading

2h ago