চট্টগ্রামের কঠিন উইকেটের চ্যালেঞ্জটা নিতে চান আলিস

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

চট্টগ্রামের উইকেটে প্রতি ম্যাচেই ধুমধাড়াক্কা ব্যাটিং করে যাচ্ছেন ব্যাটসম্যানরা। ইনিংস প্রতি গড় রান দুইশর কাছাকাছি। আগের দিন তো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স-ঢাকা প্লাটুনের ব্যাটসম্যানদের তাণ্ডবে রেকর্ড দলীয় রানের ম্যাচই দেখল বিপিএল। এমন ব্যাটিং স্বর্গে বল করতে ভয় পাবেন যেকোনো বোলার। কিন্তু আলিস আল ইসলাম চাইছেন উল্টোটা। বিরুদ্ধ উইকেটেই বল করে নিজের প্রতিভা প্রমাণ করতে চান খুলনা টাইগার্সের এই অফ স্পিনার।

এবারের আসরে তার দল এখন পর্যন্ত দুটি ম্যাচ খেললেও একাদশে সুযোগ মেলেনি আলিসের। তিনি অবশ্য জানেন যেকোনো সময় সুযোগ মিলতে পারে। টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে এমন কিছুর ইঙ্গিতও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু চট্টগ্রামের মাঠে সুযোগটা পেলে বেশি খুশি হবেন আলিস। কারণ আগ্রাসী মেজাজে থাকা ব্যাটসম্যানদের নিজের বোলিং দিয়ে বিপাকে ফেলে বেশি বেশি উইকেট তুলে নেওয়া সম্ভব বলে আশা করছেন তিনি।

আলিসের বোলিংয়ের মূল অস্ত্র তার দুসরা। বিপিএলের গেল আসরে তার ছয় উইকেটের তিনটিই এসেছিল দুসরা থেকে। তবে তার স্বাভাবিক অফ স্পিনটাও বেশ কার্যকরী। মরা উইকেটেও বল টার্ন করাতে পারেন। তাই বন্দর নগরীর উইকেটের চ্যালেঞ্জটা নিতে মুখিয়ে আছেন তিনি। দ্য ডেইলি স্টারের সঙ্গে একান্ত আলাপে আলিস জানালেন, ‘চট্টগ্রামের উইকেটে বেশ রান হচ্ছে। আমি এখানেই সুযোগটা চাই। কারণ ব্যাটসম্যানরা যেভাবে ব্যাটিং করছে, তাতে মনে হয়, আমার বোলিং খুব কার্যকরী হবে। আসলে আমি এমন উইকেটে বল করার চ্যালেঞ্জটা নিতে চাই। আগের দুই ম্যাচেই ১৩ সদস্যের স্কোয়াডে ছিলাম। তবে একাদশে জায়গা হয়নি। আশা করছি দ্রুত জায়গা মিলবে।’

বিস্ময় ছড়িয়েই আগের বিপিএলে অভিষেক হয়েছিল আলিসের। অভিষেক টি-টোয়েন্টি ম্যাচেই করেছিলেন হ্যাটট্রিক। ফেলেছিলেন সাড়া। কিন্তু মাত্র চার ম্যাচ পরেই থেমে যায় তার স্বপ্নযাত্রা। ঢাকা ছেড়ে সিলেট পর্বে খেলতে গিয়ে পড়েন চোটে। সঙ্গে বোলিং অ্যাকশনেও ত্রুটি ধরা পড়ে। সেই থেকে মাঠের বাইরে। বোলিং অ্যাকশন ঠিক করায় আবার অবশ্য বল করার ছাড়পত্র মিলেছে আলিসের। ভারতে অস্ত্রোপচার করার পর চোটও এখন নিয়ন্ত্রণে। এখন কেবল নিজেকে প্রমাণ করার সুযোগ চাই। সেই অপেক্ষাতেই আছেন এই তরুণ।

Comments

The Daily Star  | English

Effective tariff for RMG exports to US climbs to 36.5%: BGMEA

The tariff will be a bit less if 20% of the cotton used in garment production is sourced from the USA

2h ago