এক ম্যাচ খারাপ খেললেই বাদ পড়ার ভয়ে থাকেন রাব্বিরা

ছবি: ফিরোজ আহমেদ

তারকা খ্যাতি থাকলে ভিন্ন কথা। এমনকি জাতীয় দলের পাইপলাইনে থাকলেও চলে। কিন্তু এর বাইরে থাকা স্থানীয় খেলোয়াড়দের ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম না করতে পারলে একাদশে সুযোগ পাওয়াই কঠিন হয়ে পড়ে। তাই খেলার সুযোগ পেলে পারফরম্যান্সটা প্রত্যাশা অনুযায়ী না হলেও বাদ পড়ার ভয়ে থাকেন তারা। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে শুক্রবার কিছুটা ভালো খেলার পর এমনটাই বললেন দলের ফজলে মাহমুদ রাব্বি। 

'আজকে ৪০ করলাম, আর একটা ম্যাচ খারাপ করলে ড্রপ পড়ে যেতে পারি। এই একটা টেনশন থাকে পাইপলাইনের বাইরে যারা আছে। তো এরা ধারাবাহিকভাবে যে খেলবে... যে আমি চারটা পাঁচটা ম্যাচ খেলে ফেলব ওই রকম সুযোগ আমাদের খুব কম থাকে। তো আমাদের একটা টেনশন নিয়েই খেলতে হয় সবসময়।' -দলের নিজেদের অবস্থান বর্ণনা করে এমনটাই বলেন রাব্বি।

আর এমনটা বোলার পেছনে যুক্তিটাও ব্যাখ্যা করেছেন এ ক্রিকেটার, 'টেনশন বেশি কি আসলে দেখা যায় যে আমাদের যে জায়গায় সুযোগ পাওয়ার কথা, আমি যেহেতু টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান, আমি হয়তো আমার জায়গাটা পাচ্ছি না। আবার ওই জায়গাটায় গেলে দেখা যায় রান পাচ্ছি না। ম্যানেজমেন্টও ওই ভরসাটা পাচ্ছে না আমাকে দিয়ে টপ অর্ডারে খেলানো। তারা আমাকে ওইভাবেই রোটেশন করে খেলাচ্ছে। তো এই জন্য হয়তো পারফর্মটা হ্যাম্পার হচ্ছে।'

গাঁটের টাকা খরচ করে বিপিএলে দল কিনে থাকেন ফ্র্যাঞ্চাইজিরা। যদিও এবারের বঙ্গবন্ধু বিপিএলে নেই কোন ফ্র্যাঞ্চাইজি। তবে দলগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা যারা করেছেন তাদেরও খরচ করতে হয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। স্বাভাবিকভাবেই তাদের চাই নগদ পারফরম্যান্স। তাই কোন খেলোয়াড়কে লম্বা সময় ধরে সুযোগ দিয়ে ছন্দে ফেরানোর সুযোগটা থাকে না কোচদেরও। প্রচ্ছন্ন চাপ থাকেই।

এবারের বিপিএলে অবশ্য বেশ দারুণ খেলছেন স্থানীয় ব্যাটসম্যানরা। তবে জাতীয় দলের তাঁবুতে থাকা ব্যাটসম্যানরাই রান পাচ্ছেন। পাইপলাইনে থাকা কিংবা তার বাইরে থাকা ব্যাটসম্যানরা সে অর্থে আলো ছড়াতে পারছেন না। এদিন ৪২ রানের একটি ইনিংস খেলেছেন ফজলে মাহমুদ। কিন্তু প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলার জন্য তা যথেষ্ট ছিল না। তবে নিদেন পক্ষে পরের ম্যাচে একাদশে জায়গা পাওয়ার দাবিটা জোরালো করেছেন।

ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলে জাতীয় দলে ঢুকে গিয়েছিলেন রাব্বি। দুটি ম্যাচ খেলার সুযোগও পেয়েছিলেন। কিন্তু এক ম্যাচেও রানের খাতা খুলতে পারেননি। পরে বাদ পড়ে যান। এরপর আর সুযোগ হয়নি তার। এমনকি প্রাথমিক দলেও না।

Comments

The Daily Star  | English

Supernumerary promotion: Civil bureaucracy burdened with top-tier posts

The civil administration appears to be weighed down by excessive appointments of top-tier officials beyond sanctioned posts, a contentious practice known as supernumerary promotion.

8h ago