‘দুই ম্যাচও লাগে না ৩৬০ ডিগ্রি থেকে ০ ডিগ্রিতে আসতে’

উপমহাদেশের মানুষ বরাবরই একটু বেশি আবেগি। কেউ ভালো কিছু করলে, তাকে মাথায় তুলতেও খুব বেশি সময় লাগে না। আবার একটু খারাপ কিছু করলে, সেখান থেকে ফেলে দিতেও খুব বেশি সময় দরকার হয় না। বাংলাদেশে যেন এটা একটু বেশিই। এ কথাটা খুব ভালো করেই জানেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাই অতি প্রশংসায় গা ভাসাতে চান না তিনি। নিজের কাজটা ঠিকভাবে করার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

উপমহাদেশের মানুষ বরাবরই একটু বেশি আবেগি। কেউ ভালো কিছু করলে, তাকে মাথায় তুলতেও খুব বেশি সময় লাগে না। আবার একটু খারাপ কিছু করলে, সেখান থেকে ফেলে দিতেও খুব বেশি সময় দরকার হয় না। বাংলাদেশে যেন এটা একটু বেশিই। এ কথাটা খুব ভালো করেই জানেন খুলনা টাইগার্সের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। তাই অতি প্রশংসায় গা ভাসাতে চান না তিনি। নিজের কাজটা ঠিকভাবে করার দিকেই মনোযোগ দিচ্ছেন এ উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান।

চট্টগ্রাম পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে রাজশাহী রয়্যালসের বিপক্ষে দুর্দান্ত এক ইনিংস খেলেছিলেন মুশফিক। কিন্তু শিকার হন নার্ভাস নাইন্টিজের। ৯৬ রানের ইনিংসে কেবল আউট হওয়া বলটিই ঠিকভাবে খেলতে পারেননি মুশফিক। অন্যথায়, পুরো ইনিংসটি ছিল নিখুঁত। সেদিন এবি ডি ভিলিয়ার্সের মতো কয়েক রকমের ‘ইম্প্রোভাইজিং’ স্ট্রোক খেলে মাঠের চারপাশ দিয়েই রান নিয়েছিলেন। বরাবরের মতো ভয়ডরহীন মানসিকতা ও আগ্রাসনের সঙ্গে টেম্পারমেন্টের নিখুঁত সমন্বয় দেখিয়েছিলেন।

ওই ইনিংস দেখার পর ম্যাচ শেষে মুশফিককে ৩৬০ ডিগ্রি খেলোয়াড় বলে উল্লেখ করেছিলেন খুলনার কোচ জেমস ফস্টার। এমনকি নিজের ক্যারিয়ারে দেখা সেরা ইনিংসের তকমাও দিয়েছিলেন। তখন থেকেই বাড়তি আলোচনা মুশফিককে নিয়ে। তবে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) পয়েন্ট তালিকার তলানিতে থাকা দল সিলেট থান্ডারের কাছে হেরে গিয়েছে মুশফিকের খুলনা। অথচ আগের তিনটি ম্যাচেই সহজ জয় পেয়েছিল দলটি। ম্যাচ হারের পর সংবাদ সম্মেলনে মুশফিকের কাছে জানতে চাওয়া হয়, কোচের দেওয়া ৩৬০ ডিগ্রি খেতাব কতটুকু স্বস্তিদায়ক তার কাছে।

প্রথমেই মুশফিক বললেন, এমন কিছু তিনি জানেনই না! পরে জানালেন, ‘দুই ম্যাচও লাগে না ৩৬০ ডিগ্রি থেকে শূন্য ডিগ্রিতে আসতে। বাংলাদেশে আমি এটা কখনোই বিশ্বাস করি না। আর আমিও নিজেকে ওই ধরনের খেলোয়াড় মনে করি না।’

নিজের দুর্দান্ত ওই ইনিংসের কৃতিত্ব কিউরেটরকে দিলেন অধিনায়ক, ‘আমি সবসময় মনে করি যে আমার নিজের যতটুকু উন্নতি করা যায়। আর বিশেষভাবে কৃতিত্ব দিতে চাই যে কিউরেটর আছে তাকে। কারণ উইকেটটা এতো ভালো যে আপনি যদি এখানে একটু মাথা খাটিয়ে, একটু স্মার্ট ব্যাটিং করতে পারেন, তাহলে আমার মনে হয়, সহজভাবে শট খেলা যায়, অনেক ঝুঁকিও নেওয়া যায়। সেই দিক থেকে বলব, অবশ্যই কৃতিত্ব দেওয়া উচিৎ তাকে। আর একটা বিষয়, আল্লাহর রহমতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলার চেষ্টা করছি। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব পরের ম্যাচ থেকে যেন আবার সেটা ফিরে আসে।’

ধারাবাহিকভাবে ভালো করার রহস্যটাও জানালেন মুশফিক, ‘সবসময় চেষ্টা থাকে, আমার অবদানটা যেন বেশি থাকে, যেহেতু আমি অধিনায়ক। আমি চাই সেটা করতে। আজকেও চেষ্টা করেছি। হয়নি। ইনশাআল্লাহ চেষ্টা করব পরবর্তীতে আবার সুযোগ আসলে সেটা ব্যবহার করতে।’

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago