গ্রেগরি-মাহমুদে চড়ে প্রথম জয় রংপুরের, উজ্জ্বল মোস্তাফিজও
আগের দুই ম্যাচে চার-ছয়ের তুফান তুলা চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স এদিন যেন কিছুটা ক্লান্ত। ঝড় তোলা বেশিরভাগ ব্যাটসম্যানকে দেখা গেল ম্রিয়মাণ। তাদের দমিয়ে রেখে টুর্নামেন্টে প্রথমবার ছন্দে দেখা গেল মোস্তাফিজুর রহমানকে। তবু আবিস্কা ফার্নেন্দোর ঝড়ো ফিফটিতে লড়াইয়ের একটা পূঁজি পেয়ে গিয়েছিল তারা। প্রথম জয়ের পথ খুঁজতে থাকা রংপুর রেঞ্জার্স লুইস গ্রেগরি, ফজলে মাহমুদের ব্যাটে খোলস বদলে ওই পূঁজি পেরিয়েছে অনায়াসে।
চট্টগ্রামের ১৬৩ রান ৮ বল বাকি রেখে ৬ উইকেটে পেরিয়ে আসরে প্রথম পায় রেঞ্জার্স। দলকে জিতিয়ে ৩৭ বলে ৭৬ রান করে অপরাজিত থাকেন গ্রেগরি, ফজলে মাহমুদ রাব্বি খেলেন ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংস। এই ম্যাচ হারলেও ১০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের উপরেই থাকছে চট্টগ্রাম।
ক্রমাগত হারতে থাকা রংপুর এদিন মোহাম্মদ নবিকে সরিয়ে অধিনায়ক বানায় টম অ্যাবেলকে। একাদশেও আসে একাধিক বদল। হয়ত পরিকল্পনাতেও আসে বদল। তাতে ভাল ফলই পেল তারা।
টস জিতে চট্টগ্রামকে ব্যাট করতে দিয়ে শুরুতেই চেপে ধরেন মোস্তাফিজ। অনেকদিন পর বেশ ধারালো দেখা যায় তাকে। শুরুতেই লেন্ডল সিমন্সকে বোল্ড করে দেন তিনি। পরে মুক্তার আলিকে ফিরিয়ে নেন আরেক উইকেট। ৪ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে এদিন মোস্তাফিজের শিকার ওই ২ উইকেট। সবচেয়ে বড় কথা মোস্তাফিজকে এদিন দেখে গেছে বেশ সম্পৃক্ত, ব্যাটসম্যানকে পড়ে বল ফেলেছেন জায়গায়। দিয়েছেন ছন্দে ফেরার আভাস।
আগের ম্যাচে দারুণ খেলা ইমরুল কায়েস, চ্যাডউইক ওয়ালটনের ব্যাট ছিল নীরব। চট্টগ্রামের ইনিংস পুরোটাই দাঁড়ায় ফার্নেন্দোর ৪০ বলে ৭২ রানের ইনিংসে ভর করে।
পাটা ব্যাটিং উইকেটে ১৬৪ রানের লক্ষ্য নেমে শুরুতেই রুবেল হোসেন আর লিয়াম প্লাঙ্কেকেটের ঘাতে পড়ে রংপুর। রুবেল ফেরান নাঈম শেখকে। ক্যামেরন ডেলপোর্টকে বোল্ড করেন প্রথম ম্যাচ খেলতে নামা প্লাঙ্কেট।
এরপর টম অ্যাবেল আর সাদমান ইসলাম বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান উঠাতে না পারায় চাপ বাড়ে দলের। ২৪ বলে ২৪ করে অ্যাবেল আর ২০ বলে ১৬ করে আউট হন সাদমান। এই দুজনের ঘাটতি পুষিয়ে দেন গ্রেগরি, শেষ দিকে নেমে দারুণ ফিনিশ করেন ফজলে মাহমুদ। পঞ্চম উইকেটের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজনে আনেন ৯১ রান। ৩৭ বলে ৭৬ রানের ইনিংসে হাফ ডজন চারের সঙ্গে ৫ ছক্কা মারেন গ্রেগরি। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে নেমে দারুণ অবদান ফজলে মাহমুদের।
এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান রুবেল, প্লাঙ্কেটদের চার-ছয়ে উড়িয়ে রান-বলের ব্যবধান নামিয়ে আনেন দ্রুত। ২১ বলে ৩৮ রানের ইনিংসে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কা আসে তার ব্যাট থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ২০ ওভারে ১৬৩/৭ (সিমন্স ০, ফার্নেন্দো ৭২, ইমরুল ১০, নাসির ৯, ওয়ালটন ১৬, নুরুল ২০, মুক্তার ১২, প্লাঙ্কেট ১৭*, রুবেল ২* ; মোস্তাফিজ ২/২৩, মুকিদুল ১/৪২, গ্রেগরি ২/২৭, নবি ১/৩৩, সঞ্জিত ১/২৫, অ্যাবেল ১/১৩)
রংপুর রেঞ্জার্স: ১৮.৪ বলে ১৬৭/৪ (নাঈম ৪, ডেলপোর্ট ৪, অ্যাবেল ২৪, সাদমান ১৬, গ্রেগরি ৭৬*, ফজলে ৩৮*, রুবেল ২/৩৭, রানা ১/১৬ , প্লাঙ্কেট ১/৪৬, নাসুম ০/২৩ , মুক্তার ০/৪৩)
ফল: রংপুর রেঞ্জার্স ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যাচ অব দ্য ম্যাচ: লুইস গ্রেগরি।
Comments