ন্যু ক্যাম্পে অপরাজিত বার্সেলোনা, মেসির গোলের হাফসেঞ্চুরি
ঘরের মাঠে আরেকটি দুর্দান্ত বছর পার করল বার্সেলোনা। গোটা ২০১৯ সালে তারা একটি ম্যাচও হারেনি ন্যু ক্যাম্পে।
চলতি বছরে নিজেদের শেষ ম্যাচে শনিবার (২১ ডিসেম্বর) রাতে আলাভেসের মুখোমুখি হয়েছিল বার্সা। লিওনেল মেসি, লুইস সুয়ারেজ ও আতোঁয়া গ্রিজমানের নৈপুণ্যে স্বাগতিকরা জিতেছে ৪-১ ব্যবধানে। কাতালানদের হয়ে অন্য গোলটি করেন আর্তুরো ভিদাল। অতিথিদের হয়ে সান্ত্বনাসূচক গোলটি করেন পেরে পন্স।
বার্সেলোনার হার না মানা বছরের শুরুটা হয়েছিল গেল ১৩ জানুয়ারি। এইবারকে ৩-০ গোলে হারিয়েছিল দলটি।
এ বছর ন্যু ক্যাম্পে ২৮টি ম্যাচ খেলেছে আর্নেস্তো ভালভার্দের শিষ্যরা। চারটি ড্র বাদে বাকি সবগুলো ম্যাচে জিতেছে তারা। কাতালানদের ডেরা থেকে পয়েন্ট নিয়ে ফিরতে পেরেছে কেবল চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী রিয়াল মাদ্রিদ (দুবার), ভ্যালেন্সিয়া ও স্লাভিয়া প্রাগ (একবার করে)।
বার্সার ২৪ জয়ের ১৭টি এসেছে স্প্যানিশ লা লিগায়, পাঁচটি উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ও দুটি কোপা দেল রেতে। ঘরের মাটিতে এ বছর মোট ৮১ গোল করেছেন মেসিরা। হজম করেছেন মাত্র ২০টি।
আলাভেসকে হারিয়ে লা লিগার পয়েন্ট তালিকার শীর্ষেই থাকছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বার্সেলোনা। ১৮ ম্যাচে তাদের অর্জন ৩৯ পয়েন্ট। এক ম্যাচ কম খেলা রিয়ালের পয়েন্ট ৩৬।
পয়েন্ট তালিকায় নিচের দিকে থাকা আলাভেসের বিপক্ষে ম্যাচের ৬৯তম মিনিটে দলের পক্ষে তৃতীয় গোলটি করেন মেসি। প্রতিপক্ষের বেশ কয়েক জন ডিফেন্ডারকে ফাঁকি দিয়ে প্রায় ২০ গজ দূর থেকে বাঁ পায়ের জোরালো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি।
নিপুণ দক্ষতায় জালে বল জড়ানোর মাধ্যমে চলতি বছরে গোলের হাফসেঞ্চুরি পূরণ করলেন আর্জেন্টাইন ফরোয়ার্ড মেসি। এ নিয়ে টানা ষষ্ঠবার এক বর্ষপঞ্জিতে ৫০ বা তার চেয়ে বেশি গোল করার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। গেল দশ বছরের মধ্যে কেবল ২০১৩ সালেই রেকর্ড ছয়বারের ব্যালন ডি’অর জয়ী তারকা ছুঁতে পারেননি ৫০ গোল।
২০১৯ সালে লা লিগায় ৩২ ম্যাচে ৩৪ গোল করেছেন মেসি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে পেয়েছেন আট গোল। কোপা দেল রেতে লক্ষ্যভেদ করেছেন দুবার।
ইতিহাসের অন্যতম সেরা ৩২ বছর বয়সী এই ফুটবলারের বাকি পাঁচটি গোল এসেছে জাতীয় দল আর্জেন্টিনার জার্সিতে।
Comments